ঢাকা     বুধবার   ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২৪ ১৪৩১

রায়ে অসন্তোষ রেনুর সন্তান ও স্বজনরা  

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২০, ৯ অক্টোবর ২০২৪  
রায়ে অসন্তোষ রেনুর সন্তান ও স্বজনরা  

রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রেনুর স্বজনরা (ছবি: রাইজিংবিডি)

রাজধানীর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করার খোঁজখবর নিতে গিয়ে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনার হত্যা মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার দুই সন্তান ও স্বজনরা। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত রায় ঘোষণা করেন। এতে সবজি বিক্রেতা ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড এবং রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেছিল রেনুর ছেলে তাসীন আল মাহির ও মেয়ে তাসমিন মাহিরা তুবা। কিন্তু তা না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ছেলে মাহির বলে, রায়ের জন্য আমরা প্রতীক্ষায় ছিলাম। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেছিলাম।

মামলার বাদী রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। রেনুর বোন নাজমুন নাহার নাজমাও একই কথা বলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই জনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।

মামলাটিতে আদালত চার্জশিটভূক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, মামলা  যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।

এদিকে, দুই শিশুর মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু টাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়