ফ্ল্যাট ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে তামিমকে হত্যা: পুলিশ
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মো. রুহুল কবির খানসহ অন্যরা
বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ভাগাভাগি নিয়ে আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জমির মালিকের বিরোধের জের ধরে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে (৩৪) হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তামিম জমির মালিক সুলতান আহমেদের ছেলে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মো. রুহুল কবির খান।
তিনি জানান, জমির মালিক ও প্লেজেন প্রোপার্টি লিমিটেডের মধ্যে ভবন নির্মাণের চুক্তি ও ফ্ল্যাট হস্তান্তরের রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পরও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানটি তৃতীয় পক্ষের কাছে ফ্ল্যাট বিক্রি করে। এ নিয়ে জমির মালিকের সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত হয়।
মো. রুহুল কবির খান বলেন, ডেভেলপার কোম্পানি জমির মালিককে ফ্ল্যাটটি বুঝিয়ে দেওয়ার পরও তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে জমির মালিক সুলতান আহমেদ ভবনের সপ্তম তলায় নিজের ফ্ল্যাটে কাজ করতে যান। এ সময় ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল লতিফ ২০-২৫ জনকে নিয়ে সুলতান আহমেদ ও তার ছেলে তামিমের ওপর হামলা করে। আহত অবস্থায় তামিমকে মনোয়ারা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন: মো. আব্দুল লতিফ (৪৬), মো. কুরবান আলী (২৪), মাহিন (১৮), মোজাম্মেল হক কবির (৫২) এবং বাঁধন (২০)।
অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা ডেভেলপার কোম্পানি প্লেজেন প্রোপার্টি লিমিটেডের মালিক। তার লোকজনই সুলতান আহমেদ ও তামিমের ওপর হামলা করে।
মো. রুহুল কবির খান বলেছেন, আমরা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় রাখছি না। আমরা অপরাধ ও অপরাধী হিসেবে দেখছি। অপরাধী যে-ই হোক, দায় থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমরা চার্জশিট দেবো। এ ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল, তা তদন্তে উঠে আসবে। জমির মালিকের সঙ্গে ডেভেলপার কোম্পানির দ্বন্দ্ব। সুতরাং তার তো দায়ই থাকবে। বাকিটা তদন্তে উঠে আসবে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে ইতোমধ্যে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মাকসুদ/রফিক