ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

আদালতকে যা বললেন ফারুক খান ও আব্দুর রাজ্জাক

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৩, ১৫ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১৭:৪১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
আদালতকে যা বললেন ফারুক খান ও আব্দুর রাজ্জাক

দুই বছর আগে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিতে মকবুল নামে বিএনপিকর্মী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যার আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাচান এ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষে নবনিযুক্ত ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। ফারুক খানের পক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন ফারুক খান। তিনি বলেন, মাননীয় আদালত, আপনাকে ধন্যবাদ আমাকে কিছু বলতে দেওয়ার জন্য। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার সাথে আমি কোনোভাবেই জড়িত না। আমি এর কিছুই জানি না। আমি জীবনের প্রথম আদালতে এসেছি৷ আমার এলাকায় কোনো বিএনপি নেতাকর্মী কেউ বলতে পারবে না আমি কাউকে হয়রানি করেছি। বরং তারা যখন আমার কাছে কাজের জন্য এসেছে আমি তাদের সহযোগিতা করেছি। আপনারা এলাকায় জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন। আমি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো বিএনপিকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। 

ফারুক খান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমার পায়ে রড লাগানো রয়েছে। হাসপাতাল থেকে আমাকে ধরে আনা হয়েছে। আইনজীবীরা যে সাবমিশন করেছে, তাদের সাথে একমত হয়ে আমার জামিন চাচ্ছি।

পরে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এরপর ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাত দিনের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

এরপর কথা বলেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমি নিজে কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি। পিএইচডি অর্জন করেছি। আমার স্ত্রী ভিকারুননিসা কলেজের প্রভাষক। আমার সন্তানদের সুশিক্ষিত করেছি। তারা সুপ্রতিষ্ঠিত। তারা ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে নিজ নিজ দক্ষতায় চাকরি করছে। চাকরি জীবন শেষে দেশসেবার জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদান করি। কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। রাজনৈতিক জীবনে কারো ওপর অন্যায়-অত্যাচার করিনি। আমার বিরুদ্ধে হত্যার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি সেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত না। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি আপনার কাছে ন্যায় বিচার চাই।

পরে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়