ব্যবসায়ী হত্যা: স্ত্রী-ভায়রাসহ ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড 

পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী জামিল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্ত্রী মৌসুমি, ভায়রা জুয়েল রানা ওরফে তানভীরসহ ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামি হলেন-ভাড়াটিয়া খুনি শফিকুল আলম ওরফে কসাই শফিক।এদের তিন জনকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার অন্য আসামি এমরান হাসান ওরফে ইমরান ওরফে সুলতান ঘটনা জানার পরও থানায় না জানানোয় তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন মৌসুমির বাবা এরফান ও মো. ইউনূস।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ এ তথ্য জানান। পাশাপাশি রায়ে অসন্তোষের কথাও জানান তিনি।

ঢাকার সোয়ারীঘাটে গাম ও স্কচটেপের কারখানা ছিল জামিলের। ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের ৫৯ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। জুয়েল রানা ওরফে তানভীর জামিলের ভায়রা ভাই। তার সাথে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে জামিলের স্ত্রী মৌসুমির। এর জের ধরে ২০১৬ সালের ২ মে জুয়েল ও মৌসুমিসহ অন্যরা জামিলকে হত্যা করে।

হত্যার পর জামিলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না স্ত্রী এটা প্রচার করলে এ নিয়ে চকবাজার থানায় একটি জিডি করা হয়। এরপর পুলিশ স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার বক্তব্যে অসংলগ্নতা পাওয়া যায়। পরে তাকেসহ স্বজনদের নিয়ে রহমতগঞ্জের বাসায় যাওয়া হয়। এ সময় বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ চাবি চাইলে তা হারিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করেন মৌসুমী। এরপর তালা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে খাটের নিচে বস্তায় ভরে রাখা জামিলের লাশ পাওয়া যায়। 

এ ঘটনায় পরদিন জামিলের বড় বোন শাহিদা পারভীন চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।