স্ত্রীসহ সাবেক এমপি সাদেক-আশরাফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান এবং সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান ও তার স্ত্রী আফরোজা সুলতানার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। 

এদিন দুদকের উপ-পরিচালক ওমর ফারুক ও উপ-পরিচালক রেজাউল করিম উল্লিখিত ব্যক্তিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। 

সাদেক খানের বিষয়ে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাদেক খান ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তৎকালীন ৪৭ নং ওয়ার্ডের (বর্তমানে ৩৪ নং ওয়ার্ড) চারবারের কাউন্সিলর। এসব দায়িত্বে থেকে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের ও স্ত্রীর নামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানা যায়। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার স্ত্রীসহ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন। 

আনোয়ারুল আশরাফ খানের বিষয়ে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতপূর্বক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে আত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি তিন সদস্যের টিমের কাছে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। আনোয়ারুল আশরাফ খান তার অবৈধ আয়ে নিজ এলাকায় আনুমানিক ৫১ লাখ টাকার কৃষি জমি, প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকার ফ্ল্যাট-প্লট, ভাটারা থানার জোয়ারসাহারা মৌজায় প্রায় ৪৮ লাখ টাকার ফ্ল্যাট ও রাজউকের উত্তরা ৩য় প্রকল্পের প্রায় ৩২ লাখ টাকার প্লট এবং তার স্ত্রী আফরোজা সুলতানার নামে বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১ কোটি টাকার প্লট, ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। আনোয়ারুল আশরাফ খান এবং তার স্ত্রী আফরোজা সুলতানা অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে।