আদালতে শমী কায়সার
জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি, ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী শমী কায়সারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানিতে শমী কায়সারের বিষয়ে ওমর ফারুক বলেন, এই আসামি কোনোভাবে ভাবেননি, আজ এখানে এভাবে দাঁড়াবেন। এরা ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছেন। হাসিনাকে বাঁচাতে মাঝেমধ্যে নাটক করতেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর পানি ঢালার পরামর্শ দেন। হাসিনাকে খুশি করতে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বাজে ভাষায় বক্তব্য দিতেন।
এ সময় শমী কায়সারের বক্তব্য শোনেন আদালত। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে, আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে কাজ করেছি। অর্থ সহায়তা করেছি। আমি কোনো অর্থ দিইনি।
শমী কায়সার বলেন, আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। তখন নেট চালু করতে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা অন্যায়।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির বিষয়ে বিষয়ে তিনি বলেন, আমি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলিনি। ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করিনি।
এদিন বিকেল ৩টার পরে শমী কায়সারকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মৃত্যুঞ্জয় পণ্ডিত মিঠুন।
এ সময় শমী কায়সারের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানি শেষে শমী কায়সারের আইনজীবী বলেন, তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী। বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে। তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানা পুলিশ।
মামুন/কেআই