ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালালের জামিন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৯, ৭ নভেম্বর ২০২৪  
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালালের জামিন নামঞ্জুর

মোল্লা জালাল। ছবি সংগৃহীত

অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানমের আদালতে মোল্লা জালালের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি জামিনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। বয়স বিবেচনায় যেকোনো শর্তে জামিন প্রার্থনা করেন আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

এর আগে ৪ নভেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

গত ১ নভেম্বর অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সাংবাদিক মোল্লা জালাল ও তার সহযোগী সলেমান ওরফে সেলিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন একজন নারী। 

এজহারে তিনি নিজেকে সংগীত শিল্পী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।মামলায় বলা হয়, মোল্লা জালাল সাংবাদিকতার পরিচয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন।তিনি একজন সংগীতশিল্পী। ২০০৭ সালে ভালুকা প্রেসক্লাবে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের সময় মোল্লা জালালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে শাহবাগ থানার শিল্পকলা মৎস্য ভবন গেটে পিঠার দোকানের সামনে মোল্লা জালালের একজন লোক রানার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তখন স্থানীয় লোকজন মিমাংসা করে দেন। সেখানে কাজ শেষে শিল্পকলা হয়ে হেঁটে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। রাত সাড়ে ৭টার সময় হাইকোর্ট গেটের কাছে পৌঁছালে আসামি সেলিম ও অজ্ঞাতনামা একজন লোক তার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে জোর করে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত বাসায় নিয়ে যান।

ওই স্থানে মোল্লা জালাল, সলেমান ওরফে সেলিম এবং অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি তাকে ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করেন। বাদী চিৎকার করলে আসামি তাকে ছেড়ে দেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদানসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরদিন ভোর ৫টার দিকে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গাড়িতে করে তাকে রমনা পার্কের ওভার ব্রিজের কাছে রাস্তায় রেখে চলে যান।তিনি বাসায় ফিরে তার ছেলে এবং ছেলের স্ত্রীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত বলেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার দায়ের করায় বিলম্ব হয় বলে উল্লেখ করেন।

/মামুন/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়