টাকা পাচার মামলায় ফালুসহ ৩ জনকে অব্যাহতি
টাকা পাচারের মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু (ফাইল ফটো)
দুবাইয়ে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ তিন জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এসএম জিয়াউর রহমানের আদালত তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
অব্যাহতি পাওয়া অপর দুই জন হলেন-আরএকে সিরামিকস লিমিটেডের ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ কে ইকরামুজ্জামান এবং স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।
আসামিদের পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামিদের মধ্যে ইকরামুজ্জামান ও আনোয়ারুজ্জামান জামিনে ছিলেন। মোসাদ্দেক আলী ফালু পলাতক ছিলেন। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। আজ তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ১৩ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় ফালুসহ তিন জনের ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুবাইয়ে ১৮৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা দুবাইতে ২০১০ সালে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ট্রাই স্টার লিমিটেড ও ডেভেলপমেন্ট ইইউই নামে ৩টি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচার করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু। এরপর ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন।
বিএনপির একটি কমিটিতে ফালুকে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং পরের কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। তবে ২০১৬ সালে বিএনপির নতুন কমিটি হলে সেখানে তার নাম ছিল না। ওই কমিটি ঘোষণার পরপরই ফালু দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ঢাকা/মামুন/ইভা