ঢাকা     শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১ ১৪৩১

‘ভোলায় রাজনৈতিক কোলাহল, দ্বন্দ্ব হয় না’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৫, ১৪ নভেম্বর ২০২৪  
‘ভোলায় রাজনৈতিক কোলাহল, দ্বন্দ্ব হয় না’ 

বৃহস্পতিবার আদালতে নেওয়ার পথে সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল

‘ভোলায় রাজনৈতিক কোলাহল, দ্বন্দ্ব হয় না। ছাত্র আন্দোলনের সময়ও হয়নি। ভোলায় যার যার রাজনৈতিক কর্মসূচি, সে সে পালন করে।’

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের জামিন শুনানিতে এসব কথা বলেন তার আইনজীবী খায়ের উদ্দিন শিকদার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে রাজধানীর মিরপুরে নাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার আলী আজম মুকুলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আল-আমীন তালুকদার। 

আলী আজম মুকুলের জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী খায়ের উদ্দিন শিকদার। শুনানিতে তিনি বলেন, গত ১৯ জুলাইয়ের ঘটনা। মামলা ২৭ আগস্ট। এজাহারে ১৬ নম্বর আসামি আলী আজম মুকুল। বাদীর ঠিকানা ভোলার দৌলতখান। আসামি ওই আসনের এমপি। কাজেই বোঝা যাচ্ছে প্রতিহিংসার মামলা।

তিনি আরও বলেন, তখন আওয়ামী লীগের নির্দেশনা ছিল—যে যার অবস্থান থেকে কর্মসূচি পালন করবে। তখন ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। ওই সময় আলী আজম মুকুল নিজ এলাকায় ছিলেন। তবে, ভোলায় কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। ওই এলাকা নিরিবিলি, শান্ত ছিল। রাজনৈতিক কোলাহল, দ্বন্দ্ব ভোলায় হয় না। ওই সময়ও হয়নি। ভোলায় যার যার রাজনৈতিক কর্মসূচি, সে সে পালন করে। শুধু হিংসার বশবর্তী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

এ আইনজীবী বলেন, ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে ব্রেনস্ট্রোক করেন আলী আজম মুকুল। তিন মাস কোমায় ছিলেন। হাজার জনের মধ্যে একজন কোমা থেকে ফিরে আসে। আল্লাহর মেহেরবানিতে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন আলী আজম মুকুল। তার মাথায় এখনও অপারেশনের চিহ্ন আছে। সেখান থেকে ফিরে আসার পর করোনাভাইরাস। ব্যক্তি উদ্যোগে জনগণকে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। এজন্য এলাকায় তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা বলা হয়। ন্যায়পরায়নতার কারণে মানুষ তাকে ভালোবাসে।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, আলী আজম মুকুল ভোলায় জনপ্রিয়। কিন্তু, তার বড় পরিচয় তিনি ফ্যাসিস্টের সহযোগী। গুম, খুন করেছেন। বিরোধীদের রাজনীতি করতে দেননি। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এই হলো তার জনপ্রিয়তার মাপকাঠি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, আলী আজম মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তদন্ত কর্মকর্তা তাকে খোঁজেন। তিনি পালিয়ে ছিলেন। তার মতো যারা পালিয়ে ছিলেন, আবার নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। ফ্যাসিস্ট পালিয়ে গেছে, এরা পালাতে পারেনি। জামিন পেলে তারা আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে। তার জামিনের বিরোধিতা করছি।

শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আলী আজম মুকুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে আলী আজম মুকুলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-২।

ঢাকা/মামুন/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়