সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুলের বিরুদ্ধে মামলা
প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি কামরুলের নামে ৬ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ১৯৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পাবলিক সার্ভেন্ট ছিলেন এবং তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদ অর্জন করেছেন, যার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া, মো. কামরুল ইসলাম নিজ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ১৫টি হিসাবে মোট ২১ কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৫ টাকা লেনদেন করেন। তিনি এই টাকা সন্দেহজনকভাবে হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর করেছেন। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে, কামরুল ইসলামের স্ত্রী বেগম তায়েবা ইসলাম, ডা. তানজীর ইসলাম ও মেয়ে সেগুপ্তা ইসলামের সন্দেহজনক সম্পদের তথ্য পাওয়ায় তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলেছে কমিশন।
কামরুল ইসলামের স্ত্রী তায়েবা ইসলামের সন্দেহজনক সম্পদ থাকতে পারে। ছেলে ডা. তানজীর ইসলামের ১ কোটি ৪৬ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৫ টাকা এবং মেয়ে সেগুপ্তা ইসলামের ১ কোটি ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। এছাড়া তাদের নামে ও বেনামে আরও সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ১৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
কামরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ প্রতিমন্ত্রী ও ২০১৪ সালে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ