ঢাকা     রোববার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৪ ১৪৩১

পুলিশ পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করছি: ডিএমপি কমিশনার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৬:১৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
পুলিশ পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করছি: ডিএমপি কমিশনার

শনিবার রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে, উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, “এখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেলে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করছি।”

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এরকম পুলিশ এ দেশের মানুষ দেখতে চাননি। আন্দোলনে হাজারো ছাত্র-জনতার মৃত্যু দুঃখের কাহিনী রচনা করেছে। আমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ। কী কারণে মানুষের এত ক্ষোভ পুলিশের ওপরে? জুলাই-আগস্টের ঘটনা আমাদেরকে সামাজিকভাবে অনেক নিগৃহীত করেছে। এখন পর্যন্ত সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেলে নিজেদের পুলিশ অফিসার পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করছি। এই ট্রমা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। বের হয়ে আসার জন্য একটিই উপায়— মানুষকে আমাদের সেবা দিতে হবে। সেবাদানের মাধ্যমেই একমাত্র পুলিশের হারানো ইমেজ বা গৌরবকে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।”

আরো পড়ুন:

তিনি বলেন, “৫ আগস্টের ৭২ ঘণ্টা আগেও যদি তখনকার নেতৃত্বে থাকা পুলিশ অফিসাররা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে অনেকের জীবন রক্ষা হতো। পাশপাশি, পুলিশ সদস্যদেরও জীবন রক্ষা হতো। পুলিশে গত ১৫ বছরে যারা নেতৃত্বে ছিলেন, তারা কী ভূমিকা রেখেছিলেন? তারা কী কর্মকাণ্ড করলেন যে, এ দেশের মানুষ পুলিশের প্রতি এত বিরক্ত হলো? যার বহিঃপ্রকাশ— ৪৪ জন পুলিশ সদস্যকে জীবন দিতে হলো, শত শত সহকর্মী নানাভাবে ক্ষত-বিক্ষত হলো। পুলিশের থানা, ফাঁড়ি, অস্ত্র লুট হয়ে গেলো।” 

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “পুলিশে যারা নেতৃত্বে ছিলেন, তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না বা নিতে পেরেছেন কি না, সেই বিচার-বিবেচনা আপনাদের হাতে ছেড়ে দিলাম। বাংলাদেশে অনেক অ্যাসোসিয়েশন আছে। আমাদের দুইটি আছে—একটি সার্ভিং অফিসারদের, আরেকটি রিটায়ার্ড অফিসারদের। সব অ্যাসোসিয়েশনেই প্রতিযোগিতা, মতপার্থক্য থাকবে। আমি আশা করি, সার্ভিং এবং অবসরপ্রাপ্ত অ্যাসোসিয়েশনের মতপার্থক্য কমিয়ে এনে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধয় রেখে এগিয়ে যেতে পারি। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের অ্যাসোসিয়েশন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সেরকম ভূমিকা পালন করতে পারেনি। বিভিন্ন বিষয়ে এ সংগঠন যেন আরও জোরালো ভূমিকা পালন করে।”

ঢাকা/মাকসুদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়