বাসের ধাক্কায় ৬ জন নিহত: দোষ স্বীকার করে কারাগারে চালক
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় বাসের ধাক্কায় তিনটি গাড়ির ছয়জন নিহতের মামলায় বেপারী পরিবহনের চালক নুরুদ্দিন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুর রহমান আসামি নুরুদ্দিনকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, এদিন বাসের মালিক ডাব্লিউকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন একই আদালত।
আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে নুরুদ্দিনকে এবং শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর থেকে ডাব্লিউকে গ্রেপ্তার করে হাইওয়ে পুলিশ।
জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়িতে ধাক্কা দেয় বেপারী পরিবহনের একটি বাস। এতে একই পরিবারের চার জনসহ দুটি গাড়ির ছয় আরোহী নিহত ও চার জন আহত হন। নিহতরা হলেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।
এ ঘটনায় আমেনা আক্তারের ভাই নুরুল আমিন শনিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ