ঢাকা     বুধবার   ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ১ ১৪৩১

যে কোনো সময় মুক্তি পাবেন বাবর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫  
যে কোনো সময় মুক্তি পাবেন বাবর

লুৎফুজ্জামান বাবর। ফাইল ছবি

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই। তাহলে কখন কারামুক্ত হবেন, সাবেক এ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। জানা গেছে, যে কোনো সময় তিনি কারামুক্ত হবেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘‘সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কারামুক্তির কাগজপত্র একটার পর একটা পাচ্ছি। তবে সবগুলো এখনো এসে পৌঁছেনি। সবগুলো হাতে পেলেই নিয়ম অনুযায়ী উনাকে মুক্ত করা হবে।’’

জানা গেছে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মুক্তির কাগজ এখনো কারাগারে এসে পৌঁছায়নি। এ ছাড়া হবিগঞ্জ ও দিরাই থানার বিচারাধীন ৪টি মামলার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট এখনো রয়েছে। কাগজ এলে এবং ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার হলেই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।

এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের করা চোরাচালান মামলায় খালাস পান তিনি। এবার খালাস পেলেন অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায়। বাবরের খালাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তার আইনজীবী শিশির মণির জানান, বাবরের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

পড়ুন- ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর

এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া ছাড়াও ৫ জনের সাজা কমিয়ে ১০ বছর করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া, চার জন মারা যাওয়ায় তাদের আপিল বাতিল করা হয়েছে।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন।

এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয় এবং তা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। একই সময়ে সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা।

ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়