ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জাহাজবাড়িতে ‘জঙ্গি নাটক’ এর অভিযোগ: সাবেক আইজিপিসহ গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৪, ২৪ মার্চ ২০২৫  
জাহাজবাড়িতে ‘জঙ্গি নাটক’ এর অভিযোগ: সাবেক আইজিপিসহ গ্রেপ্তার ৩

কল্যাণপুরের জাহাজবাড়ি।

‘জঙ্গি নাটক সাজিয়ে’ ঢাকার কল্যাণপুরের জাহাজবাড়িতে ৯ তরুণ হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৪ মার্চ) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন—ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও মিরপুর জোনের সাবেক ডিসি জসিমউদ্দিন মোল্লা।

ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “তদন্ত সংস্থার সাক্ষ্যপ্রমাণে উঠে এসেছে, এই তিন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশ ও পরিকল্পনায় জাহাজবাড়ি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের আটক রাখার আবেদন করি। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ মে তারিখ ধার্য করেছেন।”

তিনি বলেন, “জঙ্গি তকমা দিয়ে জাহাজবাড়িতে ৯ তরুণকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে এনে এখানে রেখে হত্যা করা হয়। ইসলামি ভাবধারা সম্পন্ন মানুষের ভেতর ভয়ের সংস্কৃতি চালু করতেই এভাবে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষকে এভাবে হত্যা করা হত, যাতে শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখা যায়।”

এ প্রসিকিউটর বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড ছিল নিষ্ঠুরতম রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড। সমালোচনার মুখে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার ক্রসফায়ারের সংস্কৃতি বাদ দিয়ে এভাবে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে মানুষ হত্যা করত। এভাবেই একের পর এক বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করে।”

তাজুল ইসলাম বলেন, “নিহত ৯ তরুণের স্বজনদেরও ভয় দেখানো হয়েছিল লাশ গ্রহণ না করার জন্য। এর মধ্য দিয়ে ঘৃণার সংস্কৃতি চালু করা হয়। দেশের মানুষকে দেখানো হয় যে, এরা জঙ্গি ছিল, সেজন্য স্বজনরাও তাদের লাশ গ্রহণ করেনি।”

প্রসঙ্গত, রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ বাড়ির পঞ্চম তলায় ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই ভোররাতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে নয় সন্দেহভাজন জঙ্গি মারা যান। হাসান নামের একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। পালিয়ে যায় একজন। তারা সবাই জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

ওই ঘটনায় ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় মামলা করেন। মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়