ঢাকা     সোমবার   ৩১ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ১৮ ১৪৩১

ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা করলেন আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৬, ২৭ মার্চ ২০২৫   আপডেট: ১৭:০৯, ২৭ মার্চ ২০২৫

২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইশরাক হোসেন।

আদেশে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র হিসেবে সরকারের গেজেট বাতিল করা হয়। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন।

অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে  ডিএসসিসির নির্বাচন ও ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। 

মামলায় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ মোট আট জনকে বিবাদী করা হয়।

ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, “অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে আমরা নির্বাচন বাতিল চেয়ে মামলা করেছিলাম। তাকে মেয়র হিসেব ঘোষণার আবেদন করেছিলাম। আদালত আজ আমাদের পক্ষে রায় দিলেন। ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।”

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরে ও ফজলে নূর তাপস দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করেন। তারা শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের মেয়র পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।

আরো পড়ুন: চসিক নির্বাচনের ফল বাতিল, বিএনপি প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা

গত বছর ১৬ অক্টোবর রাতে ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে সাবেক মেয়র  আতিককে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং রিমান্ডে নেওয়া হয়। এখন তিনি কারাগারে আছেন। এদিক সাবেক মেয়র তাপসের কোনো খোঁজ নেই। অনেকে দাবি করেন, শেখ হাসিনা পালনোর আগেই তিনি দেশ ছাড়েন। 

নির্বাচনি আইন অনুযায়ী ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে আবেদন করতে হয়। মামলার পর পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবেন ট্রাইব্যুনাল। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রায়ে খুশি না হলে ৩০ দিনের মধ্যে তিনি নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন। নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তি করবেন।

এর আগে গত বছরের ১ অক্টোবর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে করা মামলায় বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছিলেন আদালত। 

চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত ওই রায় দিয়েছিলেন। 

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনের পর থেকে কারচুপির অভিযোগ করে আসছিলেন শাহাদাত হোসেন ও তার দল বিএনপি।

এরপর ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনে কারচুপি ও ফল বাতিল চেয়ে মেয়র প্রার্থী  শাহাদাত হাসেন নির্বাচন কমিশনারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়