ঢাকা     শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩২

হাইকোর্টের রুল: মেঘনা আলমকে কেন মুক্তি নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ১৩ এপ্রিল ২০২৫   আপডেট: ১৬:৩৮, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
হাইকোর্টের রুল: মেঘনা আলমকে কেন মুক্তি নয়

বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের আদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং কেন তার মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হবে না; তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনটি করেন মেঘনা আলমের বাবা বদরুল আলম। তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া কেন অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থি নয়; সেটিও জানতে রুল দিয়েছেন আদালত।

আরো পড়ুন:

রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করে এই রুল দিয়েছেন। 

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, আইজিপিকে রুলের জবাব দিতে দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবীরা বলছেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু বিশেষ ক্ষমতা আইনে কেন আটকাদেশ দেওয়া হলো? তারা মনে করছেন, একটি অস্পষ্ট অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তাকে আটকের আদেশ দেওয়া হয়েছে, যে কারণে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে গত বুধবার (৯ এপ্রিল) ফেসবুকে লাইভ করার মধ্যেই মেঘনা আলমকে আটক করা হয়। লাইভে তিনি বলছিলেন, তার বাসার ‘দরজা ভেঙে পুলিশ পরিচয়ধারীরা’ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। অবশ্য শেষপর্যন্ত তাকে আটক করা হয়। তারপর তার লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা ওই লাইভ মেঘনার প্রোফাইল থেকে মুছে যায়। তবে এর আগেই ফেসবুকে সেই লাইভের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক এই মিস আর্থ বাংলাদেশকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তোলে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনাকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।

মডেল মেঘনাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনার মধ্যে শনিবার ডিএমপির ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রবিবার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্বীকার করেন, মেঘনা আলমের আটকের প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না।

তিনি জানান, মেঘনা আলমের ব্যাপারে কিছু তদন্ত পুলিশ করছে। তার বিরুদ্ধে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটা সঠিক হয়নি। তার যদি কোনো অপরাধ থাকে, সেই অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

 মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার ২০২০ সালের আসরে জয়ী হন মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলম।

ঢাকা/মামুন/রাসেল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়