তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ

ফাইল ছবি
সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নামে ঢাকা, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে থাকা ৯ দশমিক ৪৫ একর জমি, কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় থাকা দুইটি বাণিজ্যিক স্পেস, একটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া তার নিজ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত ২০ কোটি ৫৬ লাখ একহাজার ২৩৭ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে অবরুদ্ধ করা হয়েছে ১৬ কোম্পানিতে থাকা ৫ কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার ২৩০ টাকা মূল্যের শেয়ার এবং ২ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪১ টাকা মূল্যের তিনটি গাড়ি। সবমিলিয়ে মোট অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩০৮ টাকা।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৯৩৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে এবং নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে ৭৩ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৯ টাকা জমা ও ৬৬ কোটি ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৮ টাকা উত্তোলনসহ মোট ১৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার ১১৭ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ "দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে এ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে।
মামলার তদন্তকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামির নামে ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআরসহ অন্যান্য হিসাবের অর্থ এবং স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে এসব সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য এসব অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ ও স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/এসবি