ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

মাংস সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্য

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ৩০ জুন ২০২৩   আপডেট: ১৩:৩১, ৩০ জুন ২০২৩
মাংস সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্য

মাংস খেতে কে না ভালোবাসে। তার ওপর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ হলে তো কথাই নেই। টানা বেশ কয়েকদিন কেবল মাংস খাওয়ারই আয়োজন চলে। 

ঈদের এই সময়টায় মাংসের নানা পদ উপভোগ করার পাশাপাশি, জেনে নিন মাংস সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্যও।

* শুধু পৃথিবীতেই নয়, চাঁদেও মাংস একটি জনপ্রিয় খাবার! এপোলো-১১ মিশনে ‘বিফ উইথ ভেজিটেবল’ ছিল নভোচারীদের পছন্দের খাদ্যতালিকায়।

* ১৮৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি শহরবাসীরা প্রত্যক্ষ করেন এক রহস্যময় মাংস-বৃষ্টি, যা ‘কেন্টাকি মিট শাওয়ার’ নামে খ্যাত।

* প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন জার্মান নাগরিকদের বিফ সসেজ খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। কারণ জেপলিন নামক প্রত্যেকটি গ্যাস বেলুন চেম্বারযুক্ত জার্মান বোমারু বিমান বানাতে প্রায় ২৫০১০০০টি গরুর পাকস্থলীর প্রয়োজন হতো।

* প্রায় ১,০০০ বছর ধরে জাপানে চতুস্পদ প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। ১৮৬৮ সালে জাপানের সম্রাট এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন, কারণ তার বিশ্বাস ছিল এতে করে জাপানিরা দীর্ঘদেহী ও শক্তিশালী হবে।

* পৃথিবীর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও দামি মাংসের নাম ‘কোবে’। এটি মূলত ওয়াণ্ড জাতের কালো জাপানি গরুর মাংস, যা শুধু জাপানের হুগ এলাকাতেই রয়েছে এবং কোবে বিফ মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন প্রোমোশন অ্যাসোসিয়েশনের কঠোর নিয়মকানুনের মধ্যদিয়ে এসব গরু লালিত-পালিত হয়।

* বেয়ার স্টেক থেকে বের হয়ে আসা তরলটি কিন্তু রক্ত নয়। এটি মূলত মায়োগ্রোবিন ও পানির একটি মিশ্রণ।

* মাংস খেতে গিয়ে কিছু কিছু মানুষ প্রায়ই ঘেমে ওঠেন। এর কারণ হলো অন্যান্য খাবারের তুলনায় মাংস হজম করতে শরীরের ৭ গুণ বেশি শক্তি খরচ হয়। এই শক্তির যোগান দিতে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং এই অতিরিক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে ঠান্ডা রাখতেই শরীর থেকে ঘাম নির্গত হয়।

* টিভিতে প্রচার হওয়া পৃথিবীর দীর্ঘতম বিজ্ঞাপনটি ছিল ১৩ ঘণ্টার। আরবি’স নামের বিখ্যাত আমেরিকান ফুড চেইন কোম্পানি তাদের প্রচারণার জন্য একটি গরুর সিনার মাংসের স্মোক কুকিং সরাসরি সম্প্রচার করে।

* ২০১৯ সালে বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম পৃথিবীর বাইরে, মহাকাশে উৎপন্ন করেন কৃত্রিম মাংস! এটি করতে তারা পৃথিবীবাসী একটি গরুর দেহ থেকে কিছু কোষ সংগ্রহ করে নিয়ে যান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। সেখানে গবেষণাগারে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে কোষগুলোর বিভাজন হতে থাকে এবং এটি পরিণত হয় একটি ফুল সাইজ স্টেক বানানোর মতো।

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়