শিশুর অতিরিক্ত রাগ কীভাবে সামাল দেবেন
লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
সব শিশু বাবা মা আত্মীয়-স্বজনদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চায়। শিশুরা বড়দের কাছে প্রাধান্য চায়, ভালোবাসা এবং সহানুভূতি চায়। এর কোনো একটির ঘাটতি মনে হলে তারা রাগ করে। যখন শিশু তার রাগ প্রকাশের কোনো উপায় খুঁজে পায় না তখন প্রচণ্ড হতাশা এবং জেদ থেকে অসামঞ্জস্য আচরণ করতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সে চিৎকার করতে পারে, দেয়ালে মাথা ঠুকতে পারে কিংবা মেঝেতে গড়াগড়ি খেতে পারে। এই পরিস্থিতি বাবা মা কীভাবে সামাল দেবেন?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামাল ইউ এ চৌধুরী বলেন— শিশুরা যা করে তা সে পরিবার এবং সমাজ থেকে শিখেই করে। শিশুর সঙ্গে কেমন আচরণ করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সদস্যরা কীভাবে রাগ প্রকাশ করছে শিশুরা দেখে এবং সেভাবেই রাগ প্রকাশ করতে শেখে। শিশুর কাছে যেমন আচরণ আশা করছেন তার সামনে তেমন আচরণ প্রদর্শন করবেন। শিশু রেগে গেলে তার প্রতি খুব রাগ প্রকাশ করা যাবে না। তাকে আহত বা আঘাত করা যাবে না। তাহলে শিশুরাও শিখবে রাগ হলে ভিন্ন আচরণ করা যায়। যখন সে স্বাভাবিক হয়ে আসবে তখন তার সঙ্গে কথা বলতে হবে। রাগ না করে সে আর কি করতে পারতো সেই সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। খুব গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শিশুর প্রতি খুব সহানুভূতিশীল হতে হবে। যে যদি সহানুভূতি পায় তাহলে সেও তাই শিখবে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—
চার বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো শিশুকে কোনোভাবেই আঘাত করা যাবে না। চার বছর পরে শিশুর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। শিশুরা যাতে নিয়ন্ত্রিত আচরন করতে শেষে সেজন্য তাকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। সে যেন একঘেয়েমি না হয়ে যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর ঘুম, খেলা, বিশ্রাম, পড়া-লেখা সব কিছু নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
/লিপি