গান শুনুন, তবে…
লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
গান স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে প্রভাব বিস্তার করে
যারা গান ভালোবাসেন তারা সুখেও গান শোনের, দুখেও গান শোনেন। অভিনেতা এবং গায়ক ইমতিয়াজ বর্ষণ রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন, সুখের সময় গান শুনলে সময়টা আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে। দুখের সময় গান শুনলে দুখের ভার কিছুটা কমে যায়। গান তার কাছে একরকম আশ্রয়।
অনেকে কাজে মনোযোগ বাড়ানোর জন্য এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য গান শোনেন। একটি কর্পোরেট অফিসে চাকরি করেন মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম। দিনের প্রায় আট ঘণ্টা ডেস্কে কাজ করতে হয় তার। এই সময়ের মধ্যে কাজের ফাঁকে ফাঁকে গান শোনেন তিনি। এতে নাকি একঘেঁয়েমি কেটে যায়। বিশেষ করে কৈশরে শোনা গানগুলো শুনলে সহজেই সতেজ হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, গান শোনার অনেক উপকারিতা আছে। গান শুনলে ডোপামিন হরমোন নিঃসরণ হয়। এতে আনন্দ এবং ভালোলাগার অনুভূতি পাওয়া যায়। গান শুনলে মেজাজ ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ কমে যায়। গান সৃজনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। কাজে মনোযোগ বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, গান শুনলে ভালো ঘুম হয়। কারণ গান স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে প্রভাব বিস্তার করে। মস্তিষ্কের স্বায়ত্বশাসিত স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখে। গান শুনলে শ্বাস প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। গান বিরক্তিকর চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে পারে। যাদের অনিদ্রা আছে বিশেষজ্ঞরা তাদের ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট গান শোনার পরামর্শ দেন।
তবে যেসব গান শুনলে মানসিক প্রতিক্রিয়া তীব্র হয় ঘুমানোর আগে এমন গান না শোনাই ভালো। খুব উচ্চশব্দে গান শোনা উচিত নয়। এতে মানসিক প্রতিক্রিয়া বাড়ে।
তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
/লিপি