ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৪ ১৪৩১

বর্ষায় শাড়ির যত্নে যা জানা জরুরি

রাশিদা খাতুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ১৫ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১০:১৭, ১৫ আগস্ট ২০২৪
বর্ষায় শাড়ির যত্নে যা জানা জরুরি

ছবি: সৌজন্যে ত্রিভো

শাড়ির রং এবং টেক্সার ভালো রাখতে চাইলে হ্যান্ড সোপ, শ্যাম্পু বা কম ক্ষারের কোনো সাবান দিয়ে ধুয়ে নেওয়া ভালো। তবে কোনো কোনো শাড়ি হাতে না ধুয়ে ড্রাইওয়াশ করা জরুরি। এক কথায় বলতে গেলে শাড়ি ভেদে শাড়ির যত্ন হবে আলাদা।

ত্রিভোর স্বত্বাধিকারী শ্রাবণী জলি বলেন, ‘আগে মাকে দেখতাম ভাদ্র মাসের রোদে আলমারির সব শাড়ি বের করে রোদে দিতেন। কিছুক্ষণ পরপর এপিঠ ওপিঠ করে দিতেন। এতে আষাঢ়- শ্রাবণে যে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকে শাড়িতে তা চলে যায়। এখন তো সেই ছাদ বা বিশাল বারান্দা নেই। তাই আলমারি থেকে অল্প অল্প করে শাড়ি বের করে রোদ লাগানো যেতে পারে। তবে সরাসরি রোদ থেকে এনেই ভাঁজ করে আলমারিতে না তুলে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে গুছিয়ে আলমারিতে রাখতে হবে।’

রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য শ্রাবণী জলির পরামর্শ—

১. খাদি এবং পিওর কটন মাড়ি ড্রাইওয়াশ করা ভালো। জামদানি শাড়ি হলে কাটাওয়াশ করতে হবে। ৮০, ১০০ বা ২০০ কাউন্ট সুতায় বোনা জামদানি শাড়ি কাটাওয়াশ করে কাঠের রোলারে পেঁচিয়ে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। জামদানি শাড়ি যদি ভাঁজ করে রাখতেই হয় তাহলে কিছুদিন পর পর ভাঁজ পরিবর্তন করে দিতে হবে। যদি পুরো শাড়ি কুচি করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখা যায় তাহলে ভাঁজ পড়ে না, ভাঁজে ভাঁজে নষ্টও হয় না। তিন চার মাস পর পর শাড়ি হালকা রোদে এবং বাতাসে শুকিয়ে নিয়ে কুচি করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখলে অনেক দিন ভালো থাকে।

২. সিল্ক, হাফসিল্ক শাড়ি কখনো হাতে ধুতে হয় না। এই শাড়ি খুব নাজুক। এই শাড়ি ড্রাইওয়াশ করা ভালো।

৩.  শাড়িতে যদি জরির পাড় থাকে তাহলে ড্রাইওয়াশ করাই ভালো। জরির পাড়ওয়ালা শাড়ি হাতে ধুয়ে নিলে কুঁচকে যেতে পারে। যেসব শাড়িতে টুইস্ট কাজ করা অর্থাৎ জরি আর কটনের সুতার কাজ থাকে সেগুলোও ড্রাইওয়াশ করতে হবে।

৪. সুতি শাড়িগুলো হাতে ধুয়ে নেওয়া যায়। ধুয়ে মার দিতে হবে। এতে শাড়ি ভালো থাকে।

৫. বাটিক শাড়ি কিছু সময় লবণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলা ভালো। তাহলে আলগা রঙটা উঠে যায়। এই সব শাড়ি সরাসরি ক্ষার জাতীয় কোনো কিছুতে দেওয়া উচিত না। 

/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়