ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৮ ১৪৩১

হেলমেটের ভালো মন্দ

হৃদয় তালুকদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ১৬ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১২:৩৩, ১৭ আগস্ট ২০২৪
হেলমেটের ভালো মন্দ

ছবি: প্রতীকী

মোটরসাইকেল চালক এবং আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে পুলিশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে দেশের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের কাজ করতে দেখা গেছে। এই জেন-জিদের সামনে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো প্রায় অসম্ভব! মূলত চালক এবং আরোহীর সুরক্ষার জন্যই হেলমেট ব্যবহার করা জরুরি। কেমন হেলমেট ব্যবহার করা ভালো এবং হেলমেটের যত্ন কীভাবে নেবেন জেনে নিন।

বাইক এক্সপার্ট সুপ্ত নাইমুল বলেন, ‘হেলমেট একজন বাইকারের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। একজন সচেতন বাইকার হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর কথা কল্পনা করতে পারে না। তাছাড়া বাইক চালানোর সময়ে রাইডারের শরীর অরক্ষিত থাকে, এই কারণে দেখা যায় যে বাইককে অনেকে অনিরাপদ বাহন হিসেবে গণ্য করেন। প্রযুক্তির কল্যাণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের  সুরক্ষা প্রদানের জন্য গার্ড ডেভেলপ হলেও তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবজ হচ্ছে হেলমেট।’

এই এক্সপার্ট আরও বলেন, ‘ফুল ফেইস সার্টিফাইড হেলমেট ইউজ করা উচিত। কমপক্ষে ডট সার্টিফাইড হেলমেট বেছে নিতে হবে। এছাড়া ECE 22.05 ECE 22.06 সার্টিফাইড হেলমেটগুলা ভালো এবং নিরাপদ। ভালো মানের সার্টিফাইড হেলমেটগুলোর দাম ৩৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়। হেলমেটের শেলের উপাদান ভেদে দাম কম-বেশি থাকে। এছাড়া হেলমেট কেনার সময়ে অবশ্যই মেজারমেন্ট টেপ দিয়ে মেপে কেনা উচিত কারণ অতিরিক্ত লুজ হেলমেট নিরাপত্তা দিতে পারে না আবার অতিরিক্ত টাইট হেলমেট পরে স্বাচ্ছন্দ্যে রাইড করা যায় না। কপালের ওপরের দিক থেকে মাথার চারপাশে ফিতা ঘুরিয়ে দেখতে হবে কত সেন্টিমিটারের হেলমেট লাগবে। তারপর সেই মাপ  মাফিক হেলমেট পরে ট্রায়াল দিতে হবে এবং স্ট্র্যাপটা এমন করে সেট করতে হবে যেন খুব বেশি টাইট না হয় আবার ঢিলাও না হয়। দুই আঙুলের মতো ঢিলা রাখতে হবে স্ট্র্যাপ এবং থুতনিতে ।’

হেলমেট ব্যবহারকারীদের জন্য সুপ্ত নাইমুরের পরামর্শ—

১. হেলমেট পরার আগে আলাদা কাপড় দিয়ে মাথা কভার করে নিতে পারেন যেটাকে বাফ বা ব্যান্ডনা বলে থাকে। এতে করে আপনার মাথার চুলও ভালো থাকবে এবং ঘাম সরাসরি হেলমেট এর প্যাডিংয়ে লেগে ভিজে যাবে না।

২. রাইড শেষে হেলমেটকে খোলামেলা জায়গায় উন্মুক্ত রাখতে হবে। এতে করে বাতাসে ভেতরের ভেজা ভাবটা দূর হবে। সম্ভব হলে জানালায় হেলমেটটি স্টার্প দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এতে করে রোদের তাপে স্যাঁতসেঁতে ভেজা ভাব দূর হবে এবং বাজে গন্ধ আসবে না।

৩. প্রতি মাসে একবার অন্তত প্যাডিং খুলে পরিষ্কার করতে হবে এক্ষেত্রে হেলমেট ক্লিনার ফোম জাতীয় প্রোডাক্ট স্প্রে করে ভালোমত শুকিয়ে নিলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৪. যদি প্যাডিং খুলে ফেলা যায় তাহলে প্যাডিং খুলে শ্যাম্পু-পানিতে ওয়াশ করে নিতে হবে। প্যাডিংকে মোচড়ানো যাবে না বা ডিটারজেন্ট দিয়েও পরিষ্কার করা যাবে না। অল্প তে প্যাডিং চেপে যেতে পারে। হালকা প্রেস করে করে প্যাডিং থেকে পানি ঝরিয়ে ফ্যান বা রোদে শুকিয়ে দিতে হবে।

৫. হেলমেটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হচ্ছে ভাইজর বা সামনের গ্লাস। এর যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে নাহলে দাগ হয়ে যাবে এতে করে আর আগের মতো দেখা যাবে না। গ্লাস মোছার জন্য মাইক্রো ফাইবার কাপড় ব্যবহার করতে হবে।

৬. কোনো অবস্থায় বৃষ্টিভেজা ভাইজর হাত বা অন্য কাপড় দিয়ে মোছা যাবে না এতে দাগ পড়ে যেতে পারে। বিভিন্ন গ্লাস ক্লিনার স্প্রে করে মাইক্রো ফাইবার দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।

৭. বৃষ্টিতে বা শীতের সময়ে ভাইজর ঘোলা হয়ে যায়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে পিনলক লেন্স বা বিভিন্ন অ্যান্টি ফগ লেন্স ইউজ করা যেতে পারে।

/লিপি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়