ঢাকা     বুধবার   ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৭ ১৪৩১

ঢাকায় হাঁসের মাংস আর চালের রুটি পাবেন যে জায়গায়

হৃদয় তালুকদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১১:২৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢাকায় হাঁসের মাংস আর চালের রুটি পাবেন যে জায়গায়

হাঁসের মাংস ও চালের রুটি। ছবি: লেখক

রিমঝিম বৃষ্টি কিংবা হিম হিম শীত- রুটি আর মাংসের ঝোল পেলে বাঙালির পরিপূর্ণ ভূরিভোজ হয়ে যায়। এক বৃষ্টিভেজা দুপুরে হাঁসের মাংস আর চালের রুটির স্বাদ নিতে চলে যাই দিয়াবাড়ি, উত্তরাতে। উত্তরাতে খুব পরিচিত কাজল আক্তারের দোকান।

উত্তরা উত্তরস্টেশন থেকে রিক্সা নিয়ে সোজাসুজি বউবাজার। ২০ টাকা ভাড়ায় রিক্সাওয়ালা নামিয়ে দিলেন কাজল আক্তারের খাবারের দোকানের কাছে। সাইনবোর্ডে লেখা ‘কাজল আপার পিঠা গরম’। দেখলাম কাজল আক্তারের দোকানে দুইটি কড়াইয়ে রান্না হচ্ছে হাঁসের মাংস। কাজল আক্তার ব্যস্ত রুটি বানাতে। কাজলের স্বামী হাসান মিয়া সামলাচ্ছেন ক্রেতাদের। 

অর্ডার করলাম হাঁসের মাংস ও রুটি। অর্ডারের কিছুক্ষণ পর টেবিলে চলে এলো হাঁসের মাংস ও রুটি। চালের রুটি আর হাঁসের মাংসের চনমনে ঘ্রাণ ছিল অসাধারণ। ঝাল একটু বেশিই ছিল। হাঁসের মাংসে ঝাল একটু বেশি না হলে কি আর চলে! বলা যায়- তেলে, ঝোলে মজাদার আর লোভনীয় এই খাবার।

দেশি হাঁস, চীনা হাঁস, রাজহাঁস— সব পাওয়া যায় কাজল আক্তারের দোকানে। রকমভেদে হাঁসের মাংসের দাম একই হয়ে থাকে।  প্রতি প্লেট হাঁসের মাংস ২৫০ টাকা। প্রতিটি চালের রুটির দাম রাখা হয় ১০ টাকা। 

কাজল আক্তারের দোকানে প্রতিদিন দুপুর থেকে বেচা বিক্রি শুরু হয়। দোকান খোলা থাকে রাত ১২ টা পর্যন্ত। বাটা মশলায় রান্না করা হাঁসের মাংস। যা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে বাঙালির চিরচেনা রান্নার স্বাদ ও গন্ধ। ঢাকার অনেকেই কাজল আক্তারের দোকানে খেতে আসেন। আবার দেশের বাইরে থেকেও অনেকে কাজল আক্তারের হাঁসের মাংস আর রুটির অর্ডার করে থাকেন। 

কাজল আক্তার রাইজিংবিডিকে জানান, বিদেশে পাঠানো মাংসে ঝোল রাখা হয় না। একেবারে ভুনা করা হয়। 

কাজলের দোকানে মাকে নিয়ে হাঁসের মাংস খেতে আসা সুমন রহমান জানায়, এখানকার হাঁসের মাংসের সুনাম শুনেছি। তাই আজ মাকে সঙ্গে নিয়ে খেতে এসেছি। গ্রামীণ রান্নার স্বাদ খুব ভালো লেগেছে।

কাজল আক্তার বলেন, গ্রামে যেভাবে বান্না করতাম, সেভাবেই রান্না করে হাজারো মানুষকে খাওয়াচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ। দিনে এখন ৮-১০ টা হাঁসের মাংস বিক্রি করি। সারাবছরই লোকজন আসে। শীত এলে বিক্রি সবচেয়ে বেশি হয়।

লিপি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়