দাম্পত্যে ভালোবাসা না থাকলে করণীয়
লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
স্ত্রীদের একটি কমন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা মনে করেন, স্বামী কখন আমাকে বুঝবে। এই মনে করে স্ত্রীরা তাদের মনের কথাগুলো বলতেই চান না। তারপর আস্তে আস্তে তাদের মনের ভেতর অভিমান জমে। রেগে যেতে থাকেন। মনোবিদরা বলেন, একটি মেয়ের জন্য ভালোবাসা যত গুরুত্বপূর্ণ একটি ছেলের জন্য সম্মান তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ সম্মানহীনতা পছন্দ করেন না, এটা তার প্রথম প্রায়োরিটি আর নারী ভালোবাসাহীনতা মেনে নিতে পারেন না, এটা নারীর প্রথম প্রায়োরিটি। সেক্ষেত্রে দাম্পত্যে শান্তি ফেরানোর জন্য যেকোন একজনের ম্যাচিউর পদক্ষেপ নিতে হবে। আজকের আলোচনায় স্ত্রীদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছি।
পুরুষেরা যখন মনে করেন পুরোপুরি সম্মান পাচ্ছেন না তখন প্রচণ্ডরকম রাগ দেখান। আর স্ত্রীও তখন মনে মনে ঠিক করেন, আমি তার কোনো কথা শুনবো না। কারণ স্ত্রী তখন ভালোবাসাহীনতা অনুভব করতে শুরু করেন।
মনোবিদ ডা. মুনমুন জাহান বলেন, ‘আচরণের মাধ্যমে স্বামীকে বোঝাতে হবে ‘তুমি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ আমরা মেয়েরা যখন আমাদের ভাষা দিয়ে আমাদের হাজবেন্ডকে ভালোবাসার চেষ্টা করি, বোঝার চেষ্টা করি তখন আমরা সম্মান দেওয়ার জায়গাটা মিস করে যাই। পুরুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, স্ত্রী তার স্বামীকে কতটুকু সম্মান করছে। আমাদের কাছে অনেক কাপল কাউন্সিলিংয়ের জন্য আসেন। বেশির ভাগ পুরুষ বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে সম্মান করে না, যখন রেগে যায় তখন অনেক বেশি কটু কথা বলে।– অনেক সময় দেখা যায় হাজবেন্ড যে কাজগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ ফিল করেন স্ত্রী বুঝে-শুনে ঠিক ওই জায়গাগুলোতেই আঘাত করতে থাকেন, সমালোচনা করতে থাকেন। তখন হাজবেন্ড আরও বেশি ফিল করতে থাকেন, স্ত্রী আমাকে কোনো সম্মানই করে না। স্ত্রীদের বলবো, কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে— স্বামী কথা বললেই কি তার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন কি না, সবার সামনে স্বামীকে অপমান করছেন কিনা।- স্বামীর কথা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। অযৌক্তিক মনে করলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসতে হবে। আরেকটি বিষয়, আপনি যে আপনার স্বামীর কথা মানছেন, এটাও তাকে আস্তে আস্তে বুঝিয়ে বলবেন।’
ডা. মুনমুন আরও বলেন, ‘শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি নারীরা অনেক সময় এড়িয়ে যেতে চান। এবং বলতে থাকেন- আমি সারাদিন কাজ করেছি, আমার শরীর ভালো না। কিন্তু একটা বিষয়, আমরা যখন একটি চাকরি করি তখন কষ্ট হলেও আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি। আমরা যখন সন্তানের দেখভাল করি তখন পরিপূর্ণভাবেই করি। শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টিকেও একইরকম গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এই সম্পর্ক ইমোশনাল বন্ডিংয়ের জন্য খুবই জরুরি। স্ত্রীরা দয়া করে স্বামীকে মাইন্ডরিডার ভাববেন না। মনে করবেন না, আপনার স্বামী আপনার মনে সব কথা বুঝতে পারে। এটা সম্ভব না। আপনি তাকে যা বোঝাতে চান, তা বুঝিয়ে বলুন।’
সুতরাং আপনার আবদারগুলো স্পষ্ট করুন। নরম সুরে কথা বলুন। আপনি আপনার স্বামীর বেসিক প্রয়োজনগুলো মেটানোর চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার স্বামী আপনার সঙ্গে অনেক বেশি কানেকটেড ফিল করবে।
লিপি