ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৮ ১৪৩১

দাম্পত্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ‘স্লিপ ডিভোর্স’

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২৪ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১২:৩২, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
দাম্পত্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ‘স্লিপ ডিভোর্স’

ছবি: প্রতীকী

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একই বিছানায় ঘুমানো খুব স্বাভাবিক। তবে ওয়াই প্রজন্মের (যাদের জন্ম ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মাঝে) দাম্পত্য সম্পর্কে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ঘুম বিচ্ছেদ বা স্লিপ ডিভোর্স। বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্লিপ ডিভোর্স বা ঘুম বিচ্ছেদ একটি  সাংস্কৃতিক পরিবর্তন।

ঐতিহাসিকরা বলেন, আগে ধনী ব্যক্তিরা একাই একটি বিছানায় ঘুমাতেন। এমনকি উনিশ শতকের আগ পর্যন্ত স্বামী স্ত্রী আলাদা কক্ষে ঘুমানো একটি সাধারণ বিষয় ছিল। রাজপরিবারগুলোতেও এই সংস্কৃতি ছিল। এক কথায় বলতে গেলে আর্থ-সামাজিক অবস্থা যাদের বেশি ভালো ছিল তারা একা একটি বিছানায় ঘুমাতেন। সময় পরির্বতনের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন এসেছে। শিল্প সম্প্রসারণের যুগে ডাবল বা বৈবাহিক বিছানা জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। এটি হচ্ছে আধুনিক ধারণা। 

আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব স্লিপ মেডিসিনের ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষার তথ্য,  যুক্তরাষ্ট্রের তিন ভাগের এক ভাগের বেশি উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে তারা ভালোভাবে ঘুমানোর জন্য মাঝে মাঝে বা প্রায় প্রতিদিনিই সঙ্গী থেকে আলাদা রুমে ঘুমান।

ওয়াই প্রজন্মের মাঝে স্লিপ ডিভোর্সের প্রবণতা বাড়ার কারণ হতে পারে যে, তারা এই সংস্কৃতিকে অসম্মানজনক মনে করছে না।   

মার্কিন অভিনেত্রী ক্যামেরন ডিয়াজ ‘লিপ্সটিক অন দ্য রিম পডকাস্ট’কে জানান, তিনি এবং তার স্বামী একই ঘরে ঘুমান না। তিনি মনে করেন,  আলাদা শয়নকক্ষে ঘুমানোর বিষয়টিকে সবার স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা উচিৎ।


স্লিপ ডিভোর্সের বিপক্ষেও মত আছে। অনেক মনোবিদ  মনে করেন,  সম্পর্কের গভীরতা বাড়াতে এবং শারীরিকভাবে স্বামী-স্ত্রী কাছাকাছি থাকা জরুরি। ঘুমবিশেষজ্ঞ ও মনোবিদ ডা. ওয়েন্ডি ট্রক্সেল সিএনএনের একটা প্রতিবেদনে বলেন, ‘জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ঘুমালে দুইজন সম্পর্কে গভীর নিরাপত্তার অনুভব করেন। এ ছাড়া ঘুমানোর আগে সঙ্গীকে আলিঙ্গন করা, শারীরিক সম্পর্ক, হালকা গল্প করা, চুমু খাওয়া—এসবের ফলে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ হয়। যা দু্ইজনের শরীরে অনেক সময় পর্যন্ত থাকে। এতে ঘুমের মানও ভালো হয়।’

বিবিসি এবং ভোগ অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়