আজ ‘প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরা দিবস’
লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
আলিঙ্গন আত্মসম্মান বাড়ায়। ছবি: প্রতীকী
প্রেমময় আলিঙ্গন শরীরে সুখ ও সুস্থতার অনুভূতি তৈরি করে। একটি ভালো আলিঙ্গন হতে পারে প্রেমময় স্পর্শের সবচেয়ে ভালো উপায়।
মানুষ কখনো অতিরিক্ত ভয়ে ভীত থাকে আবার কখনো একাকীত্বে ভুগতে থাকে। কেউ কখনো মানসিক চাপ অনুভব করলে একটি ভালো স্পর্শ খুঁজে পেতে চায়।
আজ ৩ ডিসেম্বর। এই দিনটি প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার বা আলিঙ্গন করার প্রয়োজনীয়তা সামনে নিয়ে আসে। বিশ্বে দিনটি ‘লেটস হাগ ডে’ নামে উদযাপন করা হয়। জানা যায়, কেভিন জাবর্নি নামের এক ব্যক্তি এই দিনটি প্রচলন করেছিলেন। একে অপরের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসা দেখানোর উপায় হিসেবে দিনটি উদযাপন শুরু হয়।
জড়িয়ে ধরার অনেক উপকারিতা রয়েছে
স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমায়: একটি ভাল আলিঙ্গন হৃদস্পন্দনকে ধীর করে দেয় এবং আমাদের শরীরে স্ট্রেস হরমোন, কর্টিসলের মাত্রা হ্রাস করে। আলিঙ্গন আমাদের শান্ত, নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করায়। মানসিক চাপের প্রতি আমরা যত কম প্রতিক্রিয়াশীল হই, ততই আমরা আমাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে শিশুরা তাদের প্রাথমিক বিকাশের পর্যায়ে বেশি স্পর্শ পায় তারা বড় হয়ে স্ট্রেসের প্রতি কম প্রতিক্রিয়াশীল হয়।
সম্পর্ক মজবুত করে: যখন আমরা কাউকে আলিঙ্গন করি, তখন আমাদের শরীরে অক্সিটোসিনের মাত্রা বাড়ে। যা লাভ (প্রেম) বা আলিঙ্গন হরমোন নামেও পরিচিত। অক্সিটোসিন আমাদের প্রিয়জনদের সাথে বন্ধনে সাহায্য করে। একটি ভালো আলিঙ্গন মা ও শিশুর মধ্যে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আরও রোমান্টিক করে তোলে। একাকীত্বের অনুভূতি হ্রাস করে।
আত্মসম্মান বৃদ্ধি করে: আলিঙ্গন কেবল আমাদের অন্যের কাছাকাছিই নিয়ে আসে না, আমাদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি করে। একটি ভালো আলিঙ্গন সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতে পারে। সেইসাথে এন্ডোরফিন- ‘ভালো বোধ করা’ হরমোন এবং প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমক হিসেবে কাজ করে।
আত্মসম্মান বৃদ্ধি করে: আলিঙ্গন আমাদের সুখী বোধ করতে সহায়তা করে। সাধারণভাবে, ভালো স্পর্শ সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতে পারে, সেইসাথে এন্ডোরফিন- ‘ভালো বোধ করা’ হরমোন এবং প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমক মুক্ত করতে পারে। এবং আত্মসম্মান বাড়ায়।
ভালো আলিঙ্গনের দুই শর্ত:
যাকে আলিঙ্গন করবেন তার আগ্রহ ও চিন্তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আলিঙ্গন করতে পারেন। কারণ এটি একটি শারীরিক স্পর্শ। এতে অপরপক্ষের সম্মতি থাকা জরুরি।
তাড়াহুড়ো করবেন না: আলিঙ্গনের সুবিধাগুলো অনুভব করতে হলে ধীরে আলিঙ্গন করুন। মন ও মস্তিষ্কের সংযোগ স্থাপনের সময় দিন।
সূত্র: থেরাপিব্র্যান্ড
ঢাকা/লিপি