যেভাবে ঘি ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়
লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
দুধের স্বর থেকে তৈরি করা হয় ঘি। রূপচর্চার ঘি-এর ব্যবহার অতি প্রাচীন। আজও এর গুরুত্ব কমেনি। যারা কেনা প্রসাধনীতে আস্থা রাখতে পারেন না তারা রূপচর্চায় ঘি ব্যবহার করতে পারেন।
শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যা: শীতকালে বাতাসে আদ্রতা কম থাকে। এ জন্য ত্বক দ্রুত শুকিয়ে যায়। তাতে ত্বকের ধরণ যাইহোক না কেন ত্বকের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। এই সময় ত্বকের যত্নে সামান্য পরিমাণ ঘি নিয়ে হাত, পা, কনুই ও হাঁটুতে লাগিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। এতে শুষ্কতা দূর হবে।
ঠোঁটের যত্নে: আমাদের শরীরের খুব স্পর্শকাতর একটি অংশ ঠোঁট। শীতে ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। এর কোমলতা হারিয়ে যেতে পারে। ঠোঁটের যত্নে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আঙুল সামান্য পরিমাণ ঘি নিয়ে ঠোঁটে বৃত্তাকারে মালিশ করে নিতে পারেন। এরপর সকালে পরিষ্কার পানি দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলতে হবে। এই অভ্যাস আপনার ঠোঁট নরম ও কামল রাখতে পারে।
ময়শ্চারাইজার: কাঁচা দুধের সঙ্গে একটু বেসন আর অল্প ঘি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে মালিশ ১৫ মিনিটের মতো ম্যাসাজ করলে ত্বক ময়শ্চারাইজিং হবে আবার ত্বক আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতাও খুঁজে পাবে।
বলিরেখা কমাতে: ঘি-তে রয়েছে ভিটামিন ই। এই উপাদান ত্বকে পুষ্টি জোগাতে পারে। বিশেষ করে চোখ ও কপালের বলিরেখা দূর করতে ঘি-এর জুড়ি নেই। চোখের ক্লান্তিও দূর করতে পারে ঘি।
গোড়ালির যত্নে: শীতে অনেকের পা ফেটে যায়। ফাটা পা থেকে অনেক সময় রক্ত ঝরতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। পায়ের ফাটাভাব দূর করতে প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে গোড়ালিতে ঘি মেখে নিতে পারেন।
ঢাকা/লিপি