ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ১৯ ১৪৩১

বছরের শুরু থেকে যেভাবে সঞ্চয় বৃদ্ধি করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১২:১৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
বছরের শুরু থেকে যেভাবে সঞ্চয় বৃদ্ধি করবেন

ছবি: সংগৃহীত

ইউএনবি-এর তথ্য, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে। এই হিসাবে সঞ্চিত ১০০ টাকা নতুন বছরে গিয়ে হয়ে যাবে মাত্র ৮৮ টাকা। ২০২৫ সালে ১০০ টাকা দামের কোনোকিছু কিনতে গেলে তার সঙ্গে যোগ করতে হবে আরও ১২ টাকা। সুতরাং সঞ্চয়ের খাত এমন হতে হবে যাতে কমপক্ষে ১৩ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায়। এতে শতকরা ১ টাকা সঞ্চয় হিসাবে থেকে যাবে। সঞ্চয় বাড়াতে যেসব দিক খেয়াল রাখতে পারেন।

ভারসাম্যপূর্ণ বাজেট তৈরি করুন: পারিবারিক বাজেট পরিকল্পনা আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে ভারসাম্যপূর্ণ করে। আয়ের বিপরীতে ব্যয়ের খাতগুলো সাজিয়ে নিতে পারেন। এবং সঞ্চয়ের জন্য একটা বরাদ্দ রাখতে হবে। হঠাৎ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত খরচগুলো মোকাবিলায় একটি ‘চ্যালেঞ্জ বাজেট’ তৈরি করা যেতে পারে। প্ল্যান সাজান এবং প্ল্যান অনুযায়ী কাজগুলো এগিয়ে নিন।

অবধারিত খরচগুলোর শ্রেণিবিন্যাস: জীবন যাপনের কিছু বিষয় থাকে যেগুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যায় না, যেমন: বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল। এগুলো নিয়মিত খরচের মধ্যেই পড়ে। তবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির পরিমিত ব্যবহারে বিল নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। একাধিক পরিষেবাগুলোর ভেতর যেকোন একটি বেছে নেওয়া ভালো। যেমন ইন্টারনেট থাকলে স্মার্ট টিভি দেখতে পারেন। সেক্ষেত্রে ডিস বিল বাদ দেওয়া যেতে পারে। ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে ফোন বিল কমাতে পারেন। 

আরো পড়ুন:

কৌশলগত বিনিয়োগ: তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করলে আপনার আয়ে স্থিতিশীলতা যোগ হতে পারে। যেমন সঞ্চয়পত্র ক্রয় বা সরকারি বন্ড ক্রয়। কম ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করা নিশ্চিত হলে ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন। যেমন স্টক ও মিউচুয়াল ফান্ড বা এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড দিয়ে বিনিয়োগ পোর্টফোলিও গড়ে তুলতে পারেন। সরকারি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কর রেয়াতের সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারেন।

ডিসকাউন্ট ও ফ্রি অফারে গুরুত্বারোপ: দৈনন্দিন কেনাকাটায় মূল্যহ্রাস ও ফ্রি সামগ্রীকে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। ব্র্যান্ড, সাধারণ, খুচরা ও পাইকারি-নির্বিশেষে প্রতিটি বিপণী বছরজুড়ে নানা উপলক্ষে ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাক বা রিডিমযোগ্য পয়েন্টের ব্যবস্থা করে থাকে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যুগে এগুলো আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থাকার কারণে যাতায়াত খরচ বাঁচিয়ে ঘরে বসেই হ্রাসকৃত মূল্যে কেনাকাটা করতে পারেন। জনপ্রিয় পেমেন্ট গেটওয়েগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে মূল্যছাড়ের অফার গ্রহণ করতে পারেন। কেনাকাটার ক্ষেত্রে সিজনাল সেলস ও স্টক ক্লিয়ারেন্স ইভেন্টগুলোর দিকে নজর রাখতে পারেন। সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কেনার সেরা উপায় এটি।

সাশ্রয়ী ও বিকল্প উপায় অবলম্বন: সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। বিশেষ করে সাধারণ মুদিপণ্য কেনার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মৌসুমি সবজি ও ফলমূল কেনার ক্ষেত্রেও এই উপায় অবলম্বন করতে পারেন।যানবাহনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে দর কষাকষি করা উচিত। এই কার্যক্রমগুলো প্রতিদিনের খরচকে অল্প অল্প করে কমিয়ে দিতে পারে। 

উল্লেখ্য, পুনরাবৃত্তিমূলক খরচ কমানো গেলে সঞ্চয়ের সম্ভাবনা বাড়ে। এবং মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা অনেকাংশে সহজ হয়। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়