নতুন বছরে ৭টি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন
লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: সংগৃহীত
নতুন বছরে যে কোনো মানুষের প্রথম চাওয়া হওয়া উচিত সুস্থ থাকা। নিজে সুস্থ না থাকলে কোনো পরিকল্পনায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ জন্য ইতিবাচক, নির্দিষ্ট এবং অর্জনযোগ্য ছোট ছোট পদক্ষেপ বাস্তবায়নের উপায় খুঁজে বের করা জরুরি। নতুন বছরে ৭টি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন যা আপনাকে সুস্থ থাকতে সহায়তা দিতে পারে।
১. এক গ্লাস পানি পান করার মাধ্যমে দিন শুরু করুন: সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় ডিহাইড্রেটেড বোধ হতে পারে। এজন্য সকালে এক গ্লাস পানি পান করতে পারেন। এ ছাড়া স্যুপ অথবা ভেষজ চা পান করতে পারেন শক্তি পাওয়ার জন্য। এই অভ্যাস আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
২. একটানা ১০ মিনিট হাঁটুন: প্রতি সপ্তাহে মাত্র ২ ঘণ্টা ব্যায়াম করার মাধ্যমে হার্টের স্বাস্থ্য, ফুসফুসের ক্ষমতা, রক্তচাপ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। প্রতিদিন ১০ মিনিট হাঁটতে পারেন। এই অভ্যাস হলো সেভিংস অ্যাকাউন্ট-এর মতো। যার ফলাফল মুনাফার মতো চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। প্রতিদিন ১০ মিনিট হাঁটলে কার্ডিওভাসকুলার ভালো থাকে।
৩. মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন: আপনি যখন ব্যস্ত থাকেন বা অন্যের যত্ন নেন তখন আপনার স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আপনি যদি চাকরির চাপ, জীবনের পরিবর্তন, বা পারিবারিক দায়িত্বের কারণে মানসিক অসুস্থতা বোধ করেন তাহলে একজন থেরাপিস্টের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
৪. বাড়িতে রান্না করা খাবার গ্রহণ করুন: বছরজুড়ে ভালো থাকার জন্য বাড়িতে রান্না করা খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। বাড়িতে রান্না করা খাবার আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবে, ঘুম উন্নত করবে এবং উচ্চমাত্রার শক্তি সরবরাহ করবে।
৫. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: সম্ভাব্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
৬. প্রতিদিন পানির গ্লাস এবং কফির মগ ধুয়ে নিন: আপনি প্রতিদিন যে আইটেমগুলি ব্যবহার করেন তা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। মগ ধুয়ে শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। আপনার এই অভ্যাসটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করবে। এ ছাড়া গোসলের ঝরনা তোয়ালে, টুথব্রাশ এবং ওয়াটার কাপ সহ ভিজে থাকা যেকোনো কিছুতে আপনার ধারণার চেয়ে বেশি জীবাণু থাকতে পারে। এগুলো যথাযথভাবে পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি অসুস্থ থাকেন ব্রাশ ব্যবহারের পরে এন্টিসেপটিক মাউথওয়াশ দিয়ে ব্রাশটি জীবাণুমুক্ত করে নিতে পারেন । এতে আপনার ব্রাশের জীবাণু অন্যদের ব্রাশে ছড়াবে না। অথবা আপনার ব্যবহৃত ব্রাশটি অন্যদের ব্রাশের কাছাকাছি রাখবেন না।
৭. প্রতি রাতে একই সময়ে বিছানায় যান: বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য পুষ্টি এবং ব্যায়ামের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঘুম। ভালো ঘুম প্রাপ্তবয়স্কদের কর্মশক্তি বাড়িয়ে দেয়, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে, হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতি রাতে কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমান। ঘুমের একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন তৈরি করুন। প্রতি রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং একই সময়ে জেগে উঠুন। ঘুমানোর আগে বেডরুমকে যতটা সম্ভব অন্ধকার করুন এবং ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, ইলেক্ট্রিক ডিভাইসগুলি নীল ছড়ায়। যা মেলাটোনিন উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং ঘুম নষ্ট করে।
নিজেকে সুখী, গর্বিত এবং কৃতজ্ঞ করতে এই স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলতে পারেন। যা আপনার নতুন বছরের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আশা করা যায়।
সূত্র: এমডি লাইভ
ঢাকা/লিপি