ঢাকা     রোববার   ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২১ ১৪৩১

প্রেগন্যান্সির শেষ তিন মাসের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০০, ৩ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ০৯:৩৫, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
প্রেগন্যান্সির শেষ তিন মাসের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

ছবি: সংগৃহীত

প্রেগন্যান্সির শেষ তিন মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। চিকিৎসকেরা বলেন ৩২ সপ্তাহ অতিক্রম করার পর থেকে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বেশ কিছু করণীয় রয়েছে। 

এই বিষয়ে কনসালটেন্ট ফয়েজা আক্তার, গাইনি ও অবস স্পেশালিস্ট, ইমপালস হসপিটাল বলেন, ‘‘ ৩২ সপ্তাহের দিকে একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখা উচিত। এই সময় দি দেখা যায় গর্ভস্থ বাচ্চার ওজন ঠিক আছে এবং গর্ভে পানির পরিমাণ ঠিক  আছে। তাহলে একজন মা এতোদিন যেভাকে কাজকর্ম করে যাচ্ছিলো বা খাওয়া দাওয়া চালাচ্ছিলো সেভাবেই চালাবে। আর যদি দেখা যায় যে বাচ্চার ওজন কম সেক্ষেত্রে আমিষ ও প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। ৩৭ সপ্তাহ থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু ব্যায়াম করতে হবে, যাতে নরমাল ডেলিভারি হয়।’’

শেষ তিন মাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আরো পড়ুন:

হঠাৎ করে বাচ্চার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে
ব্লিডিং হতে পারে
বাচ্চার নড়াচড়া কম মনে হতে পারে
মা হঠাৎ করে পেটে ব্যথা অনুভব করতে পারেন

এগুলোর কোনো একটি সমস্যা দেখা দিলে মাকে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে। এই লক্ষণগুলোকে চিকিৎসকেরা বলেন ‘ডেঞ্জার সাইন’। কোনো কোনো মা মাথা ব্যথায় ভুগতে পারেন, চোখ কম দেখতে পারেন এগুলোও এক একটা বিপদ চিহ্ন।

ফয়েজা আক্তার আরও বলেন, ‘‘৩৭ সপ্তাহের কাছাকাছি সময়ে হাসপাতালে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। বাসা থেকে হাসপাতালে যোগাযোগের মাধ্যমটা রেডি রাখতে হবে। কোনো কোনো মায়ের ব্লাড লাগতে পারে। সেজন্য অন্তত দুইজন ডোনারের সাথে কথা বলে রাখতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটা খেয়াল রাখতে হবে যে বাচ্চা গর্ভে দিনে অন্তত ১০ বার নড়ছে কিনা। বাচ্চা ১০ বারের কম নড়াচড়া করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’’

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়