অসুখী মানুষের আচরণে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: সংগৃহীত
সংসারে আমাদের একটি রুটিন তৈরি হয়ে যায়। সেই রুটিন অনুযায়ী আমরা কাজ করি, ঘরে ফিরি, ঘরের মানুষদের সঙ্গে সুখ, দুঃখ ভাগাভাগি করে নেই। এই রুটিন অনুযায়ী চলতে চলতে সুখি নাকি অসুখী মানুষ হয়ে উঠলাম, সেই প্রশ্নটির উত্তর আর খোঁজা হয়ে ওঠে না। ‘সাইকোলজি টুডে’ অসুখী মানুষের ১২ টি লক্ষণের কথা উল্লেখ করেছে। এগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে মিলিয়ে নিতে পারেন অসুখী মানুষের সমীকরণ।
১. ফুরফুরে অনুভব না করা: সাপ্তাহিক ছুটির আগে দিনে অফিস থেকে ফিরেও যদি ফুরফুরে অনুভব না করেন তাহলে বুঝতে হবে কাজের ঘানি টানতে টানতে আপনি ক্লান্ত। শরীর ও মন একসঙ্গে কোনো কাজ করতে উৎসাহ দিচ্ছে না।
২. উদ্দেশ্যহীনভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার: উদ্দেশ্যহীনভাবে আপনি যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন আর স্ক্রল করতেই থাকেন, বুঝবেন, জীবন সম্পর্কে আপনার আগ্রহ কমে যাচ্ছে।
৩. বেশি অথবা কম খাওয়া: প্রয়োজনের অতিরিক্ত বেশি বা কম খাবার গ্রহণ করাও অসুখী মানুষের লক্ষণ। এ ছাড়া একজন অসুখী মানুষ খাবারের স্বাদ আলাদা অনুভব করতে পারেন না। আবার দেখা যায় যে, খাবার ছাড়া অন্য কোনো কিছুতে আগ্রহ নেই।
৪. ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন: ভবিষৎ পরিকল্পনা সাজানোর জন্য মানসিক উৎসাহ দরকার হয়। আপনি যদি ভবিষৎ নিয়ে কথা বলার বা পরিকল্পনা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন বুঝতে হবে আপনি অসুখী হয়ে উঠেছেন।
৫. অভিযোগ আর অভিযোগ: চারপাশের পরিবেশ, পরিবার, প্রিয়জনদের প্রতি যদি শুধু অভিযোগ আর অভিযোগ জমা হয় তাহলে আপনি ক্রমে নেতিবাচকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং অসুখী মানুষ হয়ে উঠছেন। এতে অনেক রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।
৬. সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্টতার ঘাটতি: একজন অসুখী মানুষ সঙ্গীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন না। এরা প্রকৃতপক্ষে একা হয়ে পড়েন। অন্যরাও এদেরকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে।
৭. সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেন: অসুখী মানুষেরা যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে গেলে দ্বিধায় পড়ে যান। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে শুরু করেন। আবার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও ভাবতে থাকেন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
৮. অতিরিক্ত খরচ: অসুখী মানুষ অতিরিক্ত খরচ করতে দ্বিধা করেন না। ফলে জীবন যাপনে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। আবার অতিরিক্ত খরচ হয়ে গেলে অনুশোচনা করতে শুরু করেন।
৯. ঘুমের বেহাল দশা: ঘুম মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করার শক্তি যোগায়, মানসিকভাবে ভালো রাখে। কিন্তু স্লিপ সাইকেল ঠিক না থাকলে মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে। নিজেকে অসুখী ভাবতে শুরু করেন।
১০. লম্বা, গভীর কথোপকথনে আগ্রহী নন: অসুখী মানুষেরা দীর্ঘ এবং গভীর আলাপে আগ্রহী হতে চান না। অন্যরাও এমন মানুষের সঙ্গে গল্প করতে চান না।
১১. নিজের সঙ্গে নেতিবাচক কথোপকথন: অসুখী মানুষ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারেন না। এরা হীনম্মন্যতায় ভুগতে শুরু করেন। ছোট ছোট কথায় কে কী ভাবলো এই নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু করেন।
১২. অল্পতেই রেগে যান, প্রতিক্রিয়া দেখান: অসুখী মানুষেরা যেকোন ছোট ছোট বিষয়ে বড় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে পরিস্থিতি খারাপের দিকে নিয়ে যান।
ঢাকা/লিপি