রুপালী বাংলাদেশের লোগো উন্মোচন

আসছে আরও একটি নতুন দৈনিক পত্রিকা ‘রুপালী বাংলাদেশ’। ‘মুক্ত চিন্তার দুরন্ত প্রকাশ’- এ স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা পত্রিকাটির লোগো উন্মোচন করা হয়েছে।

জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনের বলরুমে লোগো উন্মোচন করেন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইন পত্রিকার দেশবরেণ্য সাংবাদিকরা। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মধ্যে দিয়ে উন্মোচন করা হয় লোগো। পরে কেক কেটে তা উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রুপালী বাংলাদেশের প্রকাশক ও সম্পাদক সাংবাদিক সায়েম ফারুকী। তিনি বলেন, প্রায় দুই যুগ প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতা করেছি। নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার আলোকে সংবাদমাধ্যম রুপালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। 

পত্রিকাটির চেয়ারম্যান ও ভাইয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মারুফ সাত্তার আলী রাসেল বলেন, কয়েকজন সুহৃদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি রুপালী বাংলাদেশ। এই প্রতিষ্ঠানে কোনো অন্যায় চাপ কিংবা বাধা থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে আমরা সততা ও সুসাংবাদিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করব।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মুখপাত্র এবং আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, আমার বিশ্বাস, রুপালী বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনন্য নজির স্থাপন করবে। বিভিন্ন কারণে গণমাধ্যম মোকাবিলা করছে নানা ঝুঁকি। ঝুঁকি থাকবেই। একাত্তরে আমাদের ঝুঁকি ছিল। আমরা ঝুঁকি মোকাবিলা করেই সফল হয়েছি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ঝুঁকি ছাড়া সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। আমি বিশ্বাস করি, রুপালী বাংলাদেশ সফলতা পাবে।

দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক কায়েস আহমেদ সেলিম বলেন, রুপালী বাংলাদেশের সম্পাদক বিনয়ী ও সৎ মানুষ। আমার বিশ্বাস, তিনি সেই সততা ও সুসাংবাদিকতার মাধ্যমে পত্রিকাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।

বিবিসি বাংলা সার্ভিসের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সাবেক প্রধান শাকিল বিন মোস্তাক বলেন, কঠিন সময় পার করছে আমাদের গণমাধ্যম জগত। কিন্তু, এই কঠিন সময়েও আসছে নতুন নতুন পত্রিকা। এটি প্রশংসনীয় দিক। আমি বিশ্বাস করি, সততা ও সুসাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড় প্ল্যাটফর্ম হবে রুপালী বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—ডিজিএফআই’র পরিচালক (মিডিয়া উইং) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মো.কামরুজ্জামান, ডিজিএফআই’র সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর (মিডিয়া উইং) ওবায়েদ রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক-কবি নাসির আহমেদ, টুরিস্ট পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মনিরুজ্জামান টুকু, এসবির এডিশনাল ডিআইজি (ইমিগ্রেশন ল্যান্ড অ্যান্ড সি) আশিকুল হক ভুইয়া, সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি (সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম মনিটরিং সেল) মো. রেজাউল মাসুদ, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল কুমার মুখার্জি, টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল এসপি নাদিয়া ফারজানা, পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।