জেল দেওয়া টায়ারে এয়ার প্রেশার কীভাবে মাপবেন?
রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, খানা-খন্দের ধাক্কা সবকিছুই সামাল দিতে হয় বাইকের দুটি টায়ারকে। অথচ এই টায়ারের যত্নে সবচেয়ে বেশি অবহেলা করতে দেখা যায় অধিকাংশ বাইকারকে।
বাইকের টায়ার সঠিক প্রেশারে ঠিক না থাকলে মাইলেজ কমে যায় এবং সার্বিক পারফরম্যান্স কমতে শুরু করে। সাসপেনশন দুর্বল হওয়া, ব্রেকিং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করা, গতি কমে যাওয়া-এর সবই ঘটে টায়ার প্রেশার ঠিক না থাকার কারণে। তাই নিরাপদ রাইডিংয়ের অন্যতম পূর্বশত টায়ারের যত্ন নেওয়া।
টায়ারে অনেকে জেল ব্যবহার করেন, আবার অনেকে করেন না। জেলবিহীন টায়ারেরে প্রেসারের সঠিক রিডিং পাওয়া তেমন ঝামেলার নয়। প্রেশার মাপার ক্ষেত্রে যতো ঝামেলা এই জেলযুক্ত টায়ারেই। এর মূল কারণ হচ্ছে, প্রায় সব টায়ার দোকানদার বাইকের টায়ারের নজেলের অংশটুকু মাটির কাছাকাছি রাখেন। এতে করে টায়ারে থাকা সব জেল নজেলের কাছে এসে জমা হয়। এ কারণে টায়ারের ভেতরে থাকা বাতাসের সঠিক চাপ মেশিন ধরতে বা রিড করতে পারে না।
এ ক্ষেত্রে বাইকাররা নিচের দুটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারেন-
১. উভয় টায়ারের নজেল ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে রাখার পর বাইক কিছুক্ষণ গিয়ার ফেলে রাখতে হবে। বাইকের পিছনের চাকা যাতে না ঘুরে সেজন্যই গিয়ারে ফেলে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ এভাবে রাখলে চাকায় থাকা জেল নিচে নেমে যাবে।
২. প্রেসার মাপার আগে অল্প হাওয়া দিয়ে নিন। এতে নজেল ভালবে জমে থাকা জেল সরে যাবে।
৩. মেশিন দিয়ে প্রেশার মেপে নিন।
যারা টায়ারে জেল ব্যবহার করেন তাদের নিয়মিত নজেল ভালবটিও পরীক্ষা করে দেখা উচিত। জেলের কারণে নজেল পিনটি অনেক তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
আরেকটি কথা না বললেই নয়, দোকানে গেলেই অনেক বাইকরাই বলেন, ‘মামা চাক্কায় হাওয়া লাগব।’ মামাও নিজের মনে করে সামনের চাকায় ৩৫ পিএসআই, পেছনের চাকায় ৪০ পিএসআই হাওয়া দিয়ে দেন। চাকায় হাওয়া বেশি থাকার কারণে বাইক লাফিয়ে লাফিয়ে দৌঁড়ায়। ভাগ্নে বাইকার বোঝেনও না, এতে তিনি তার ব্রেকিং সিস্টেমের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছেন। দ্রুত বেক করার সময় নিশ্চিতভাবেই বাইকের চাকা স্লিপ করবে। তাই মামার ওপর নির্ভর না করে বাইকের ম্যানুয়ালে লেখা টায়ার প্রেশার সম্পর্কিত নির্দেশনা মেনে চলুন। এছাড়া বাইকের পেছনের সুইং আর্মে টায়ার প্রেশার কত রাখতে হবে তা লেখা থাকে। প্রতিবার প্রেশার মাপার সময় সেই লেখাটি দেখে নিন।
ঢাকা/শাহেদ