ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

মুজিববর্ষে জার্মানির উপহার ‘বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ’

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০০, ২৫ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ০১:৩৫, ২৬ আগস্ট ২০২০
মুজিববর্ষে জার্মানির উপহার ‘বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ’

মুজিববর্ষের নতুন উপহার হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ’ চালু করতে যাচ্ছে জার্মানির হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটি। বাংলাদেশের প্রফেসরদের থেকে এই বিষয়ে আবেদন গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরপর একজনকে নির্বাচিত করা হবে। বিশ্ববিদ‌্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-সূত্রে এসব তথ‌্য জানা গেছে।

ইউজিসি-সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর এই বিষয়ে আবেদন ছাড়বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়মিত প্রফেসররা আবেদন করবেন। 

জানতে চাইলে ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘প্রতিবছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এই বছরের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। আবেদনকারী প্রফেসরদের মধ‌্যে থেকে হাইডেলবার্গ তিন থেকে পাঁচজনকে বাছাই করে ইউজিসিতে দেবে। পরে ইউজিসি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যাছাই-বাছাই শেষে একজনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করবে।’

ইউজিসি-সূত্রে জানা গেছে, এই ফেলোশিপের আওতায় বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর একজন প্রফেসরিয়াল ফেলো হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর এশিয়ান অ‌্যান্ড ট্রান্সকালচারাল স্টাডিসে যোগ দেবেন। বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ছড়িয়ে দেবেন। একইসঙ্গে গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।

তথ্যমতে, ওই ফেলো বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্ব, কর্ম ও আদর্শকে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করবেন। প্রত্যেক ফেলোশিপ প্রোগ্রামের শেষে সংশ্লিষ্ট প্রফেসরিয়াল ফেলো বাংলাদেশ সরকার ও হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অ‌্যাকাডেমিক প্রতিবেদনও জমা দেবেন। বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট ফেলোর সম্মানী ভাতা, আবাসন ও স্বাস্থ্যবীমার ব্যয়ভার বহন করবে। হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউট প্রয়োজনীয় অফিস স্পেস, শিক্ষা উপকরণ, টেলিফোন সুবিধাসহ অন্যান্য দাপ্তরিক সুবিধা নিশ্চিত করবে।

এদিকে, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের জন্য শিগগিরই চালু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ইউজিসি-এর মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসে প্রত্যাশীদের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

এছাড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে এমএস, পিএইচডি ও পিএইচডি-উত্তর গবেষণার জন্য ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে।

ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে যেহেতু বিদেশ পাড়ি দেওয়া জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে কারণে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের অভ্যন্তরে বৃত্তির সংখ্যা কিভাবে বাড়ানো যায়, সেই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ইনস্টিটিউটে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ’ শীর্ষক ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ স্থাপন করা হয়। পরবর্তী দুই বছর বাংলাদেশ থেকে দুই জন প্রফেসরিয়াল ফেলো উক্ত প্রোগ্রামে অংশ নেন। তারপর এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আর এ সময়ে প্রফেসরিয়াল ফেলো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইউজিসি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল।

ইয়ামিন/এনই


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়