জাতীয় পার্টি নেতা কাদের ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে সম্পদের নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার আসামি প্রাক্তন সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. আবদুল কাদের খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আবদুল কাদের খান বর্তমানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন।
দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়ায় সোমবার কমিশন থেকে তাদের বিরুদ্ধে এই নোটিশ ইস্যু করা হয় বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আয়কর নথিতে উল্লেখ করা কাদের খান ও তার স্ত্রী আক্তার জাহান উম্মে নাসিমা বেগমের সম্পদ এবং দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া সম্পদের মধ্যে গরমিল পাওয়ায় সম্পদ বিবরণী চেয়ে এই নোটিশ জারি করে কমিশন। দুদকের চিঠিতে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদের বিবরণী কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
অনুসন্ধান প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে দেখা যায়, আবদুল কাদের আয়কর নথিতে প্রদর্শিত সম্পদের পরিমাণ ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬২ টাকা। অথচ দুদকের অনুসন্ধানে তার প্রাপ্ত সম্পদের পরিমাণ দুই কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৪৮২ টাকা। এখানে সম্পদের হিসেবে গরমিল এক কোটি ৭৫ লাখ পাঁচ হাজার ২০ টাকা।
অন্যদিকে তার স্ত্রীর নাসিমা বেগম তার আয়কর নথিতে এক কোটি ৫০ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৭ টাকা সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ২৪ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৯ টাকা। এখানে এক কোটি ৭৪ লাখ চার হাজার ৪৯২ টাকা গরমিল পাওয়া গেছে।
তাদের আয়কর নথিতে প্রদর্শিত সম্পদের চেয়ে অনুসন্ধানে পাওয়া অতিরিক্ত সম্পদ জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ বলে অনুসন্ধানে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবদুল কাদের খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান করেন দুদকের উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদ। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এ অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ অক্টোবর ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক
রাইজিংবিডি.কম