ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিচারাধীন মামলা কমিয়ে আনতে হবে

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৩, ২২ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিচারাধীন মামলা কমিয়ে আনতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশের আদালতগুলোতে ৩১ বা ৩২ কিংবা ৩৩ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।  এটা  কিন্তু অস্বাভাবিক সংখ্যা। তাই মামলাজট অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে।

বৃহস্পতিবার জাস্টিস রিফর্ম অ্যান্ড করাপশন প্রিভেনশন (জেআরসিপি) প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ : ফলাফল উপস্থাপন ও আলোচনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আইন মন্ত্রণালয় এবং জিআইজেড যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। অনুষ্ঠানে সারাদেশের সকল জেলা জজ ও সমপর্যায়ের বিচারক এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটরা অংশ নেন।

তিনি বলেন, আজকের যে ৩১ লাখ বা তারও অধিক মামলাজট সেটা যদি ১০ বছর পর ৬২ লাখে দাঁড়ায় তাহলে কিন্তু আস্থাও কমে যাবে। সেজন্যই আমাদের মামলাজট কমানোর যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে জাস্টিস অডিটের তথ্য এবং অভিজ্ঞ বিচারকদের পরামর্শকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

মামলাজট কমানোর লক্ষে সরকার বিদ্যমান আইন সংশোধনসহ বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদক মামলার বিচারের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য এ সম্পর্কিত আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে এবং জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনেই এই সংশোধন করার চেষ্টা করা হবে। অন্যথায় অধ্যাদেশ আকারে পাস করে এটা চালু করা হবে। এছাড়া ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে যুগ্ম জেলা জজের পাশাপাশি সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজকে এসব মামলার বিচার করার ক্ষমতা দেয়া হবে। সেজন্য আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যা খুব শিগগিরই সংসদে পাস হয়ে যাবে।

আনিসুল হক বলেন, ন্যায়বিচারে সাধারণ জনগণের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা পৃথিবীর যেকোনো সরকারের জন্য সবচেয়ে পবিত্র এবং সম্ভবত সবচাইতে কঠিন দায়িত্ব। কারণ, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের জন্য যে বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হয় তার সাফল্য বা ব্যর্থতা কোনো একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে না। জনগণ, সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আইন-বিধি সংস্কারের পাশাপাশি নতুন নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সদা পরিবর্তনশীল বিচারব্যবস্থার কার্যকারিতা এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রতি সদিচ্ছা, দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতার উপরে নির্ভর করে। 

বিচারপ্রার্থীদের একটি বড় অংশ আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে আছে, তাদের জন্য আইনি পরামর্শ গ্রহণ এবং আইনি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা কষ্টসাধ্য বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, মামলার দীর্ঘসূত্রিতা তাদের আইনি যাত্রাকে আরও কষ্টকর করে তোলে। আর তাই, নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগোষ্ঠীসহ সকল বিচারপ্রার্থীর আইনি অধিকার নিশ্চিতকল্পে সংশ্লিষ্ট সকলের সক্রিয় ও সমন্বিত উদ্যোগ একান্ত প্রয়োজন।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জার্মানির ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর বুর্কহার্ড দুকফে, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন প্রমুখ। 


রাইজিংবি‌ডি/ঢাকা/২২ আগস্ট ২০১৯/আসাদ/নবীন হোসেন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়