ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০২, ১৬ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য যানবাহনের চালক, পথচারীসহ সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় চার লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার, সেতু এবং বাইপাস সড়কসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অহেতুক প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যানবাহন চালকদেরকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটবে।’

সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন সড়কে কত বড় বা ভারী যানবাহন চলতে পারে সে বিষয়টা একটু খেয়াল রাখা দরকার। কারণ, অনেক সময় অনেকে এই বিষয়টি মানতে চান না।’

তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের কথা আমরা বলছি। ইতোমধ্যে আমরা নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়ন করেছি। যারা রাস্তায় চলাচল করেন, তারা যখন রাস্তা পার হবেন তখন ডান এবং বাম এই দুই দিকে দেখে সচেতনভাবে পার হতে হবে। আবার রাস্তায় যারা গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালাবেন তাদেরও সচেতন হতে হবে। বাস, ট্রাকচালকদেরও সচেতন হতে হবে।

বুধবার উদ্বোধন করা অন্যান্য প্রকল্প হচ্ছে- ময়মনসিংহ-গফরগাঁও-টোক সড়কের ৭২তম কিলোমিটারে বানার নদীর ওপর ২৮২ দশমিক ৫৫৮ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের ইন্দ্রপুল থেকে চক্রশালা পর্যন্ত বাঁক সরলীকরণ, ভোমরা স্থলবন্দর সংযোগসহ সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক এবং মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুসমূহ (১৩টি সেতু) স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপন।

স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জ এলাকার উপকারভোগী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণভবন প্রান্তে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব‌্য দেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পিএমও সচিব সাজ্জাদুল হাসানসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা পর্যন্ত যেন সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয় সেজন্য একটি সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। যার সুফল পাচ্ছে দেশের জনগণ।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা দুর্ঘটনা ঘটলে শুধু চালককে দায়ী করলে চলবে না। বরং কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল সেজন্য পথচারী এবং দুর্ঘটনাকবলিত যানের যে চালক তারও কী ভুল আছে সেটাও কিন্ত দেখা দরকার। সেজন্য আমি বলব, চালক থেকে শুরু করে যারা সড়ক ব্যবহারকারী সবারই সচেতনতা একান্তভাবে প্রয়োজন।

তিনি বলেন, একটি দুর্ঘটনায় হতাহতের কারণে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো নানা দুঃখ-কষ্টের শিকার হয়। কেউ মারা যায়, কেউ পঙ্গু হয়ে থাকে, বিভিন্নভাবে তাদের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাজেই এই দিকটা সকলকেই দেখতে হবে।

স্কুল পর্যায় থেকেই সড়কে চলাচলের আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তার কোনদিক থেকে হাঁটতে হবে, সেটাও শিক্ষণীয় বিষয়। কখন পার হতে হবে সেটাও শিক্ষণীয় বিষয়। আমি মনে করি, আমাদের প্রতিটি স্কুলে এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই স্কুলজীবন থেকেই এই শিক্ষাটা প্রদান করা একান্তভাবে দরকার।’


ঢাকা/পারভেজ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়