ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত ঢামেক ও মুগদা হাসপাতাল

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ১৫ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত ঢামেক ও মুগদা হাসপাতাল

শুধু করোনা শনাক্তের পরীক্ষা নয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতাল ও মুগদা মেডিক্যাল করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবার দেওয়ার প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে। অন্যদিকে কয়েকটি  হাসপাতালে ডাক্তার আক্রান্ত হওয়ায় সেগুলো লকডাউন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে- ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুরোটাই করোনার জন্য প্রস্তত করা হচ্ছে। কাজও শেষের পথে। খুব তাড়াতাড়ি এসব হাসপাতাল করোনার রোগীদের ভর্তি করা হবে।

এরপর পর্যায়ক্রমে আরও কিছু হাসপাতাল নেওয়া হবে। সেই ব্যাপারে নামও প্রস্তাব করা হয়েছে। মগবাজারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালও করোনার জন্য প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে হলি ফ্যামিলির নামও প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে আনোয়ার খান মর্ডাণ হাসপাতাল করোনার রোগীদের জন্য প্রস্তত করতে আলোচনা চলেছে।

অন্যদিকে বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতালে ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সেগুলো লকডাউন করা হয়েছে।

মগবাজার ইনসাফ আল বারাকা কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের দুই ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরা আক্রান্ত হওয়ার পর ১৪ এপ্রিল ওই হাসপাতালটি লকডাউন করা হয়েছে।

শুধু এই হাসপাতালটি নয়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে। আবার কোনো হাসপাতালের শুধু কোনো একটি বা দুইটি বিভাগও লক করা হয়েছে।

রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে একই বিভাগের চার চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় সেই হাপাতালের ওই বিভাগটি লকডাউড করেছে কর্তৃপক্ষ।

ইমপালস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. জহির আলামীন বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার ফলে পুরো হাসপাতালের সকলেই ঝুঁকিতে রয়েছেন। গত পরশু ১৮ জনকে পরীক্ষা করিয়েছি। আজকেও ৫০ জনকে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। ফলে তাদের সেবা কার্যক্রমও অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে।’

চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার কারণে যদি একে পর এক হাসপাতাল-ক্লিনিক লকডাউন হতে থাকলে সাধারণ মানুষ বা সংশ্লিষ্ট ওই হাসপাতালের আশপাশের মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের (বিডিএফ) সাধারণ সম্পাদক নিরূপম দাশ বলেন, এটা চিকিৎসা সেবার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। কোভিড রোগী ছাড়া অন্য রোগীদের যাওয়ার জায়গা তো লাগবে। তারা কোথায় যাবে। তাই কেউ আক্রান্ত হলে বা সন্দেহ হলে তাকে আলাদা করে আইসল্যুশনে রাখতে হবে। সেজন্য কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য এই মুহূর্তে অন্তত ২০ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা দরকার।যতদ্রুত সম্ভব এটা করা দরকার। এটায় প্রাথমিক সাপোর্ট দিতে দিতে আরও ৩০ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।তাহলে ওই সব হাসপাতাল বা ক্লিনিকের উপর চাপ পড়বে না।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতাল লকডাউন হয়েছে, মোটা দাগে চিকিৎসা সেবার ওপর এর প্রভাব পড়বে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, আশা করি তেমন কোনো সমস্যা হবে না।সমস্যা যাতে না হয়, সেসব বিষয় বিবেচনা করে আরও কিছু হাসপাতাল করোনার চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। শিগগিরই ওই সব হাসপাতালে করোনা রোগীদের ভর্তি করা হবে।


ঢাকা/সাওন/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়