ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির রিপোর্ট ভিত্তিহীন : বিজিএমইএ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ৯ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির রিপোর্ট ভিত্তিহীন : বিজিএমইএ

৯৬ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে নিয়ে করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

শনিবার (৯ মে) বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিজিএমইএ বলছে, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি যে সব উৎস থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়েছে তা যাচাইযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য নয়। প্রতিবেদনে ২৫টি সংবাদপত্রের কথা বলা হলেও সেখানে নাম উল্লেখ করা হয়নি। যে তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।  সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা ও বিভ্রান্তি তৈরি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে করা হয়েছে।’

সংগঠনটির মতে, বিজিএমইএর কাছে যে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে তা প্রতিদিন পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের সঙ্গে ক্রস চেক করা হয়। ৭ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ১২ হাজার ৪৪৫ জন কভিড-১৯ এ সংক্রামিত হয়েছে।  যেখানে ওই দিন ৭০৬ করোনায় আক্রান্ত রোগী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। যেখানে করোনায় আক্রান্ত গার্মেন্টস কর্মীর সংখ্যা প্রায় ০.১৬ শতাংশ।   আর মোট সংখ্যার ০.২ শতাংশেরও কম গার্মেন্টস কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

করোনাভাইরাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বাস্থ্য, পেশাদার সাংবাদিক, ব্যাংকার বা আরএমজি কর্মীসহ সব পেশার লোককে প্রভাবিত করছে। যার মধ্যে গার্মেন্টস কর্মীর সংখ্যা খুব বেশি নয়।  তাই এককভাবে গার্মেন্টস খাতকে বিবেচনা না করে জীবিকা ও অর্থনীতির স্বার্থে সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরার জন্য বিজিএমইএ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতিকে অনুরোধ জানিয়েছে।

গত ৭ মে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের ৯৬ জন শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল। গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপ্রধান তাসলিমা আক্তার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্তদের ৮০ শতাংশ শ্রমিকই ঢাকা বা তার আশপাশের শিল্প এলাকায় কর্মরত ছিলেন। আক্রান্ত পোশাকশ্রমিকদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ পুরুষ ও ৪৭ শতাংশ নারী। তাছাড়া, আক্রান্তদের ৫০ শতাংশের বয়স ২৫-৩৫ বছর। ৪০ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর। আর ১০ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের ওপরে। গত ২৬ এপ্রিল পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার পর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ শতাংশ শ্রমিক। তার মানে, কারখানা চালুর পর তুলনামূলক কম দিনে বেশিসংখ্যক পোশাকশ্রমিক আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

 

ঢাকা/এম এ রহমান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়