নির্বাচিত কৃষকের নামের তালিকা ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর
ধান সংগ্রহে কৃষকের নামের লটারি করার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের নামের তালিকা ইউনিয়ন অফিসের তথ্যকেন্দ্রে এবং সরকারি খাদ্য গুদামের অফিসে দৃশ্যমানভাবে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। পাশাপাশি লটারি করার পর অপেক্ষমান কৃষকের নামের তালিকাও তৈরি করে রাখতে বলেন তিনি।
সোমবার (১৮ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে খুলনা বিভাগের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুম।
জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক কতজনকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং প্রকৃত গরিব, দুস্থ কতজনকে নতুন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠান। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ তালিকা হালনাগাদ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দিন।
খুলনা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে, তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা খানুম বলেন, কোনোভাবেই পুরনো চাল নেওয়া যাবে না, চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহ করা চাল এবারের বোরো ধানের। পাশাপাশি বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করার নির্দেশ দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক, খুলনা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/আসাদ/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন
