ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যুদ্ধ থামাতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের যৌথ বিবৃতি হস্তান্তর

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ৭ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
যুদ্ধ থামাতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের যৌথ বিবৃতি হস্তান্তর

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের বৈশ্বিক যুদ্ধবিরতির আবেদনের সপক্ষে গৃহীত যৌথ বিবৃতিসহ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় মহাসচিবকে উদ্দেশ করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, ‘বিশ্বের সব সংঘাতপূর্ণ এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ থামাতে এই যৌথ বিবৃতি নিশ্চয়ই আপনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবে।’

জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈশ্বিক যুদ্ধবিরতির আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের (ইকুয়েডর, মিশর, জ্যামাইকা, জাপান, মালয়েশিয়া, ওমান, সেনেগাল, স্লোভেনিয়া, সুইডেন ও বাংলাদেশ) স্থায়ী প্রতিনিধিরা এ যৌথ বিবৃতিটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাসচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।

১০টি দেশের সহ-উদ্যোগে প্রণীত এই যৌথ বিবৃতি গত ২২ জুন প্রকাশ করা হয়।  এটি জাতিসংঘের ১৭২টি সদস্য দেশ ও পর্যবেক্ষক সদস্যগুলো সমর্থন করে।  মহাসচিবের আবেদনে এ পর্যন্ত এটিই ছিল সদস্য দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সমর্থন। কোভিড-১৯ এর সময়ে যুদ্ধ ও বৈরিতার প্রভাবে বিপর্যস্ত মানবতার জন্য এই বিবৃতিটি বৈশ্বিক সংহতি ও মমত্ববোধের এক শক্তিশালী ও স্পষ্ট বার্তা বহন করে এনেছে।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটির আলোচনায় কোভিড-১৯ মোকাবিলার বৈশ্বিক প্রচেষ্টাগুলো এগিয়ে নিতে বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় এটি মোকাবিলার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ মহাসচিবের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘সংঘাতপূর্ণ অনেক পরিস্থিতিতে শান্তি আনতে আপনার আবেদন সফল হয়েছে, যদিও এখনো অনেকেই এতে এগিয়ে আসেনি এবং কেউ কেউ এর সঠিক প্রয়োগ করছে না।’

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ যে অবদান রেখে যাচ্ছে, এ সময় তা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিক্রিয়ায় যৌথ বিবৃতিটিকে ‘তার আবেদনের সপক্ষে সেরা ও গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এজন্য সব সহ-উদ্যোক্তাকে ধন্যবাদ জানান।

মহাসচিব তার যুদ্ধবিরতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সফল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব তুলে ধরার পাশাপাশি আরও অনেক কিছু করা বাকি রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, এটির বাস্তবায়নই মূল বিষয়। তিনি বৈশ্বিক সংহতি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন এবং এই সংহতি অন্যান্য ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান। বিবৃতিটির সহ-উদোক্তারা মহাসচিবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরতির পক্ষে রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ে এ আবেদনটি ছিল মহাসচিবের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা।

গত ২৩ মার্চ মহাসচিবের এই আবেদন প্রকাশের পরপরই যেসব দেশ এতে সমর্থন জানিয়েছিল বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।

 

ঢাকা/হাসান/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ