ঢাকা     রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

দেড় মাসে ২৭ কেন্দ্রে ৫ ডেঙ্গু রোগী

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ১৭ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
দেড় মাসে ২৭ কেন্দ্রে ৫ ডেঙ্গু রোগী

করোনার সময়ে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে এমন বিবেচনায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) তাদের পাঁচটি মাতৃসদন ও ২২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা কিট দিয়েছিল। এক মাসেরও বেশি সময়ে ওই ২৭ কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে ১১৩টি নমুনা। এর মধ্যে পরীক্ষায় মাত্র পাঁচজন রোগীর ডেঙ্গু পজিটিভ এসেছে।

ডিএনসিসি বলছে, ২০১৯ সালের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হয়। এর ফল হিসাবে ডেঙ্গুর মৌসুমে ৪ শতাংশ পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে। এ কার্যক্রম যথাযথভাবে চালানো গেলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

গত ১১ মে থেকে বিনামূল্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের জন্য ৫টি নগর মাতৃসদন ও ২২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা শুরু করে ডিএনসিসি।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, ব্যাপক হারে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্তে আগামী সপ্তাহ থেকে আরও ১৩টি সেন্টারে ডেঙ্গু শনাক্তের কিট দেওয়া হবে।  সেসব জায়গা থেকে বিনামূল্যে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করা হবে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মমিনুর রহমান মামুন রাইজিংবিডিকে বলেন, এপ্রিলে বলা হয় করোনার ভয়ে অনেকে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় হাসপাতালে যাবে না; পরীক্ষা করাতে পারছে না এবং ডেঙ্গু আছে। তখন আমরা ২৭টি কেন্দ্রে ডেঙ্গু কিট দিলাম, যেন বিনামূল্যে পরীক্ষা করা হয়। প্রায় দেড় মাসে ১১৩টি পরীক্ষা হয়েছে, এরমধ্যে পজেটিভ পাওয়া গেছে মাত্র পাঁচজনকে। মোট পরীক্ষার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র চার শতাংশ।

এদিকে কোভিড ও নন-কোভিড হাসপাতালগুলোতে যেন কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত না হন এবং এর প্রকোপ না বাড়ে সেজন্য সপ্তাহব্যাপী বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ডিএনসিসি।  কার্যক্রমের আওতায় ডিএনসিসি এলাকার হাসপাতালগুলোর আশপাশে সপ্তাহব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।  কার্যক্রমটি আগামী শনিবার শুরু হতে পারে।  ওইদিন শুরু হলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

মমিনুর রহমান বলেন, মশক নিধন কার্যক্রমের অংশ হিসাবে চিরুনি অভিযান শেষ হলো।  যেসব জায়গায় লার্ভা পেয়েছি সেগুলো মনিটর করছি।  তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চালু থাকবে।

তিনি বলেন, করোনা ও অন্যান্য হাসপাতালে রোগীদের জন্য মশারি থাকে না বা টানানো হয় না।  সেখানে একজন ইনফেকটেড হলে অনেকজন ইনফেকটেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক সপ্তাহ টার্গেট করে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালগুলোর আশপাশে বিশেষ কার্যক্রম অর্থাৎ লার্ভিসাইডং ফগিং পরিকল্পনা করা হয়েছে।

গত মাসে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা হাসপাতালগুলো পরিষ্কার করেছে।  হাসপাতালগুলো যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয় সে বিষয়ে সচেতন, সেখানে ডেঙ্গু হতে পারে, হলে সেখান থেকে রোগীদের মধ্যে বড় আকারে ছড়িয়ে যেতে পারে এই কার্যক্রম এক সপ্তাহ করবো।  এছাড়া উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় সকালে লার্ভিসাইডিং, বিকেলে ফগিং চলছে বলেও জানান ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।


ঢাকা/নূর/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়