ঢাকা-৫ ও ১৮ আসনে কারা পাচ্ছেন বিএনপির টিকিট
ঢাকা-৫ ও ১৮ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো বিএনপির ভেতরও প্রার্থী দেওয়া নিয়ে চলছে আলোচনা। এরই অংশ হিসেবে বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য মনোনয়ন-প্রত্যাশীর নাম আলোচনায় উঠে এসেছে।
বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া ও যশোর উপনির্বাচনে প্রথমে প্রার্থী দেওয়ার পর করোনার কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ালেও ঢাকার এই দুই আসনে দলীয়ভাবে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, নীতি-নির্ধারকদের বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, নীতি-নির্ধারকদের বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মে সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এই আসনে গত নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতি নবীউল্লাহ নবী। এছাড়া, দলের কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়াও টিকিট পেয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছিলেন নবীউল্লাহ নবী। এরই ধারাবাহিকতায় এবার উপ-নির্বাচনে নবীউল্লাহ নবীর পাশাপাশি সেলিম ভূঁইয়াও মনোনয়ন চাইতে পারেন।
বিএনপির এই দুই নেতার বাইরে আরও দুই জনের সম্ভাবনা রয়েছেন। তাদের একজন সাবেক ঢাকা-৪ (বর্তমান ৫ আসন) আসনের বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহম্মেদ ও তার ছেলে তানভীর আহম্মেদ রবিন।
এই প্রসঙ্গে তানভীর আহম্মেদ রবিন বলেন, ‘দল যদি বাবাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে তিনি প্রস্তুত আছেন।’
এদিকে, আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন গত ৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করলে শূন্য ঘোষণা করা হয় ঢাকা-১৮ আসন। গত নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। তবে, এবার বিএনপি এই আসনে দলীয় প্রার্থী দিতে পারে।
এই আসনে উপ-নির্বাচনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের একজন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পপতি এম কফিল উদ্দিন আহম্মেদ। নিজের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছেন, এলাকাবাসী আছে। আমার পারিবারিক ঐতিহ্য আছে। মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
আরেকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
ঢাকা-১৮ আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী বাহাউদ্দীন সাদী বলেন, ‘দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই করোনার সময়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়কেই প্রাধান্য দিচ্ছে। আমরাও সেই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে আপাতত প্রচার বন্ধ রেখেছি। দলীয় সিদ্ধান্ত পেলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবো।’
ঢাকার এই দুই আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনে যওয়া-না যাওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।’
উল্লেখ্য, ঢাকা-৫ আসন গঠিত হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯ ও ৫০ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা মেট্রোপলিটনের ডেমরা ইউনিয়ন, দনিয়া ইউনিয়ন, মাতুয়াইল ইউনিয়ন ও সারুলিয়া ইউনিয়ন নিয়ে।
আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ ও ১৭ নং ওয়ার্ড এবং দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, তুরাগ, উত্তরা ও উত্তরখান থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৮ আসন।
ঢাকা/সাওন/এনই
রাইজিংবিডি.কম