ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলার লক্ষ্যে জরুরি সভায় এলজিআরডি মন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার বিভাগে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন এলজিআরডি মন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলার প্রস্তুতির লক্ষ্যে ভার্চুয়ালি এ সভার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান যেকোনো দুর্যোগে মানুষকে সচেতন করা, নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসাসহ মানসিকভাবে শক্তি যোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের নিবিড় সম্পর্ক থাকে। এ কারণে জনপ্রতিনিধিরা মানুষকে দুর্যোগ সম্পর্কে সতর্ক এবং সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সব স্তরের জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে বসে করণীয় ঠিক করে প্রস্তুতি নিলে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব।’
তাজুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলার জন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তুতি তদারকি এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে (কন্ট্রোল রুমের ফোন নাম্বার ৯৫৪৫৪১৫)।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং সহযোগিতার জন্য এ কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে খোলা অন্যান্য কন্ট্রোল রুমের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে জলোচ্ছ্বাস হওয়ায় উপকূলীয় এলাকায় তীব্র পানির সংকট দেখা দেয়। জরুরি পানি সরবরাহ করতে হয়। স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হয়। এ কাজগুলো ওয়াসা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর করে থাকে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান তৃণমূল পর্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।’
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ইতোমধ্যে মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ওয়াটার পিউরিফাই ট্যাবলেট, স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রস্তুত রেখেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, উপকূলীয় জেলার জেলা প্রশাসকগণ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আসাদ/রফিক