লকডাউনে মানুষ ছুটছেই
লকডাউনের মধ্যে বাস বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনই অনেক মানুষ রাজধানীতে আসা-যাওয়া করছেন (ছবি: হাসিবুল মিথুন)
করোনারভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ৭ জেলায় চলছে লকডাউন। এ কারণে দেশের দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছে বাস মালিক সমিতি। কঠোর লকডাউনের মধ্যে বাস বন্ধ থাকলেও কিছুতেই সাধারণ মানুষদের যাতায়াত আটকানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই অনেক মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করছেন, আবার রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
আরও পড়ুন: ৭ জেলায় কঠোর লকডাউন
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রাইভেটকারে বা হেঁটে ঢাকায় ঢুকছেন মানুষ। আবার গাবতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় প্রাইভেটকার থামিয়ে যাত্রী নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে দেখা গেছে।
বাগেরহাট যাবেন মোহাম্মদ লিখন আহমেদ। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি ধানমন্ডি থাকি। বাড়িতে খুব জরুরি কাজ থাকায় যেতে হচ্ছে। কিন্তু লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ। অনেকের কাছেই শুনেছি আমিনবাজার আসলে নাকি কিছু না কিছু পাব বাড়ি যাওয়ার জন্য। এখানে এসে সেটাই দেখছি। মাইক্রোবাস, বা প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেল পাওয়া যাচ্ছে আরিচা পর্যন্ত যেতে। তাই এখন প্রাইভেটকারে করে পাটুরিয়া ঘাটে যাব। কোনোভাবে ঘাট পার হয়ে ভেঙে ভেঙে চলে যাব বাগেরহাট।
মুন্না খান নামের ওপর এক যাত্রী বলেন, লকডাউন এখন মুখে মুখে, বাস্তবে নেই। অনেকেউ সেই শুরু থেকেই লকডাউনের মধ্যে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। আবার ফিরেও আসছেন। কোনো সমস্যাই হচ্ছে না। বাস বন্ধ রেখে কি লাভ। মানুষ কিছু ঠিকই যাচ্ছে।
পিরোজপুর থেকে আসা নাজমুল হোসেন বলেন, খুব সকালে প্রাইভেটকারে করে পিরোজপুর থেকে রওনা দিয়েছি। একটু চিন্তায় ছিলাম যে ঢাকা ঢুকতে দেবে কিনা পুলিশ বাহিনী। কিন্তু আসল ঘটনা হচ্ছে রাস্তায় কোথাও কোনো চেকপোস্ট দেখতে পাইনি। কোনো পুলিশ থামায়নি আমাদের গাড়ি। খুব আরামেই চলে এসেছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাবতলী ফাঁকা থাকলেও আমিনবাজার ব্রিজের ওপর থেকে তীব্র যানজট। প্রাইভেটকার ও ট্রাকের জটে মানুষ পায়ে হেঁটেই আমিনবাজার পাড়ি দিচ্ছেন। অন্যদিকে ট্যাক্সি ও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার যাত্রী পরিবহন করছে। প্রাইভেটকারগুলো সুযোগ বুঝে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
আমিনবাজার এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা আসছে। রাজধানী থেকেও অনেক মানুষ যাচ্ছে। আমরা কোনো গাড়ি যেতে দিচ্ছি না। কিন্তু সাধারণ মানুষকে কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুন করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ঢাকার আশপাশের সাতটি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে।
/হাসিবুল/এসবি/