তাপসের ইন্ধনেই আমাদের ব্যাংক হিসাব ক্লোজ করা হয়েছে: সাঈদ খোকন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘বর্তমান মেয়র তাপসের ইন্ধনে দুর্নীতি দমন কমিশন আমাদের পরিবারের আটটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আবেদন করেছে আদালতে। সে মোতাবেক আদালত আমাদের পরিবারের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।’
মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘দুদক আমাদের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত করলে আমার বা পরিবারের কোনো আপত্তি নেই।’ তিনি অ্যাকাউন্টগুলো চালু করার দাবি জানান।
ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র বলেন, ‘আমার এবং আমার পরিবারের আটটি ফ্রিজ করা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭ কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৩ টাকা আছে। দুর্নীতি দমন কমিশন কোনো ধরনের নোটিশ বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি আদালতের মাধ্যমে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আমি মনে করি, এতে আমার এবং আমার পরিবারের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মেয়র তাপস তার নগর পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতে নিয়মিত আমার প্রতি বিভিন্ন হয়রানি ও বিদ্বেষমূলক আচরণ করে আসছে। আমি বিশ্বাস করি, দুর্নীতি দমন কমিশনের এমন কর্মকাণ্ড তাপসের প্ররোচণায় সংঘটিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বকেয়া পরিশোধ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুরোধ করব, আমার জব্দ করা অ্যাকাউন্ট সচল করে দিয়ে আমাকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পরিচালনার সুযোগ দিন, যেটা আমার ও আমার পরিবারের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার। আপনাদের তদন্তে আমার কিংবা আমার পরিবারের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কারও প্ররোচণায় ও দলাদলিতে দুর্নীতি দমন কমিশন লড়বে, একজন নাগরিক হিসেবে আমি এটা প্রত্যাশা করি না। আমি নাগরিক হিসেবে দুদকের নিরপেক্ষ ভূমিকা দেখতে চাই। এ শহরের প্রতিটি নাগরিকের মতো আমিও একজন সাধারণ নাগরিক।’
মেয়র তাপসের উদ্দেশে সাঈদ খোকন বলেন, ‘কতটুকু ভোটে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন, তা এ শহরের মানুষ জানে। যাই হোক, ক্ষমতায় আছেন, মানুষের সেবায় কাজ করুন। আপনি ঢাকার মরা লাশের ওপর পর্যন্ত ট্যাক্স বসিয়ে দিয়েছেন। আপনি কিভাবে ঢাকাবাসীর কাছ থেকে ভালোবাসা আশা করেন। আপনার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য কি আর কোনো মানুষ পাননি। বারবার কেন আমার ওপরে? আইনিভাবে মোকাবিলা করব। ঢাকাবাসীকে নিয়ে রাজপথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করব।’
ঢাকা/মেসবাহ/রফিক