ছুটছে মানুষ গ্রামে
![ছুটছে মানুষ গ্রামে ছুটছে মানুষ গ্রামে](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2021July/dhaka-out-2-2107150459.jpg)
ঈদুল আজহা ২১ জুলাই। হাতে সময় বাকি কয়েকদিন। তাই অনেকেই বিভিন্ন উপায়ে রাজধানী ছাড়ছেন। বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন শিথিল হওয়ায় চলছে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন। জানা গেছে, বুধবার ভোর থেকেই ছুটছে মানুষ গ্রামে।
আরও পড়ুন: ১৪ দিন পর আগের রূপে ঢাকা
বুধবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, কাজলা, শনিরআখড়া এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষের আগ্রহ ছিল মাওয়ামুখী। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের এই রুটে ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। যাত্রাবাড়ী থেকে মোটরসাইকেলে, অটোরিকশা এবং পণ্যবাহী যানবাহনে চড়ে রওনা দিতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও দেখা যায়, যাত্রীদের বাড়ি ফেরার চিত্র। নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ,কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরের কিছু কিছু মানুষকে বিভিন্ন পরিবহনে করে বাড়ি যেতে দেখা যায়।
সৌদি প্রবাসী হাফিজুর রহমান। বাড়ি গোপালগঞ্জের চাপাইল। ঈদুল ফিতরের দিন দেশে ফিরেছেন। যাবেন ১ সেপ্টেম্বর। এর আগে তাকে নিতে হবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন নেওয়ার সনদ ছাড়া যাওয়া বিমানবন্দরে ঝামেলা হবে তাই লকডাউনের মধ্যে অনেক কষ্ট করে ঢাকায় আসেন। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ঢাকায় তেমন কোনো কাজ নাই। তাই কষ্ট হলেও ফিরছেন বাড়ি।
হাফিজুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেলে ৮০০ টাকা ভাড়া দিয়ে মাওয়াঘাট পর্যন্ত যাচ্ছি। এরপর ফেরীতে নদী পার হয়ে মাইক্রোবাস আছে। পদ্মা পার হতে পারলে আর তেমন কোনো সমস্যা হবে নাই।
মোটরসাইকেল চালক মো. মহিউদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যদের ফাঁকি দেওয়া কঠিন। তাই নানা কৌশল অবলম্বন করতে হয়। গ্রামের অপরিচিত মেঠোপথ ধরে স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করে করে যেতে হয়। এতে যেমন কষ্ট, তেমন সময়ও বেশি লাগে। তাইতো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়াও একটু বেশি নিতে হয়।
মিজানুর রহমানের গন্তব্য কুমিল্লা। ঢাকা থেকে দূরত্ব কম হওয়ায় সাহস করে পথে নেমেছেন বলে জানান। ঢাকার একটি বেসরকারি ফার্মে কাজ করেন। ঈদের আগে কাজ নেই। মালিক বেতন দিয়ে ছুটি দিয়েছেন। কুমিল্লার দেবীদ্বারে তার বাড়ি। তিনি বলেন, অটোরিকশা দিয়ে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত যাবেন। ব্রিজ পার হয়ে একই পদ্ধতি বাকিটুকু যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তার আশা, বিকেলের মধ্যে বাড়ি পৌঁছাবেন।
/মামুন/এসবি/