‘কাওলা-তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হবে আগামী বছর’
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
ওবায়দুল কাদের (ফাইল ফটো)
আগামী বছর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাওলা হতে তেজগাঁও পর্যন্ত নির্মাণ শেষে ট্রাফিক চলাচলের উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) পিপিপি ভিত্তিতে নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনটি ধাপে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রথম ধাপে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিলে কাওলা থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত, ২য় ধাপে বনানী রেল স্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত এবং ৩য় ধাপে মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে।
প্রথম ধাপের ভৌত অগ্রগতি শতকরা ৬৬.২৫ ভাগ, দ্বিতীয় ধাপের ভৌত অগ্রগতি শতকরা ২১.৫০ ভাগ এবং তৃতীয় ধাপের ভৌত অগ্রগতি শতকরা ২.৩৩ ভাগ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩০.৫০ ভাগ বলে জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্প আমার আগে ভিতি প্রস্তর স্থাপন হয়েছিলো। কিন্তু কাজের কোনো অগ্রগতি ছিলো না। আমি এসে দফায় দফায় বৈঠক করেছি। ফান্ডিংয়ের সমস্যা ছিলো। সেই সমস্যাও কেটেছে। কাজে গতি এসেছে। প্রথম দিকে কাজে ঢিলেঢালা ছিলো। প্রকল্পটি কি হবে সেটি নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিলো। সেই সংশয় এখন কেটে গেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকল্পের কোনো নকশা বা কোনো কিছু পরিবর্তন করতে হলে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে করা হবে।
নোয়াখালী জেলার আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি হচ্ছে কি না সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিটি আমার কাছে এলে আমি অনুমোদন দেবো। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কথাবার্তা হচ্ছে। আমার কাছে এখনো এই বিষয়ে কোনো কিছু আসেনি।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটির রুট নির্ধারিত হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।
পরিদর্শনকালে সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, প্রকল্প পরিচালক এএইচএম আখতার হোসেনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পারভেজ/এসবি