‘মৎস্যসম্পদ বাড়াতে ব্যাপক পরিকল্পনা করা হয়েছে’
দেশের মৎস্যসম্পদ বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের নবনির্মিত মৎস্য অবতরণকেন্দ্র উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনা সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা করেছে। ইলিশ নিয়ে গবেষণার জন্য গবেষণাকেন্দ্র করা হয়েছে। দেশের যে প্রান্তে ইলিশ কমে যাচ্ছে, সে প্রান্তে উৎপাদন যাতে বাড়ানো যায়, ইলিশ যাতে নির্বিঘ্নে প্রজনন করতে পারে, এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়েছে। যেসব নদীতে ইলিশ ছিল কিন্তু এখন নেই, সেখানে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম করা হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত মৎস্য আহরণ বন্ধ করার জন্য যেসব এলাকায় নজর দেওয়া দরকার, সেসব এলাকায় নজর দেওয়া হচ্ছে। নদীর গভীরতা যাতে নষ্ট না হয়, নদীর গতি-প্রকৃতি যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি। নদীর নাব্যতার কারণে মৎস্যসম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নজরে আনা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্যজীবী নিবন্ধন চলমান প্রক্রিয়া। মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে মৎস্যজীবীদের নিবন্ধন হালনাগাদ হবে। প্রকৃত মৎস্যজীবীরা এ তালিকায় থাকবেন। মাছ ধরা বন্ধের সময় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে। মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।’
যারা সমুদ্রে মাছ আহরণে যাবেন, তাদের আধুনিক প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে বাংলাদেশের নিকটবর্তী ভারতের নদী বা সমুদ্র এলাকায় একই সময়ে মৎস্য আহরণ বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ সময় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মো. তৌফিকুল আরিফ ও যুগ্ম সচিব মো. আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসানহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের খেপুপাড়া নদী উপকেন্দ্রের অফিস কাম গবেষণাকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
আসাদ/রফিক