বিমানের মহাব্যবস্থাপক ফারুকীকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

ছবি: সংগৃহীত
দুটি উড়োজাহাজ লিজ সংক্রান্ত ১১০০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা) মো. আব্দুর রহমান ফারুকীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে দুদকের একটি অনুসন্ধান টিম।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা) মো. আব্দুর রহমান ফারুকী এ বিষয়ে বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
দুদক জানায়, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার (মিশর) থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর নামে দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কিন্তু বছর না যেতেই ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখার জন্য ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ওই ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানে। এতসব প্রক্রিয়ায় ইজিপ্ট এয়ার ও মেরামতকারী কোম্পানিকে পাঁচ বছরে বাংলাদেশ বিমানের গচ্চা দিতে হয়েছে ১১০০ কোটি টাকা।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তদন্তে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানোর সুপারিশ করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বিষয়টি দুদকে আসার পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। ওই টিম গত ২৮ মে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চিঠি পাঠায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয়ে গত ১ জুন অভিযান পরিচালনা করেছিল দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্ব অভিযান চালানো হয়। এসময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
নঈমুদ্দীন/এনএইচ